27 C
Dhaka
শনিবার, জুন ২১, ২০২৫

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আপেল মাহমুদকে প্রমাণ দিতে হলো তিনি মুক্তিযোদ্ধা

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

 

খবরের দেশ ডেস্কঃ

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছিলেন, আবার স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে গানে গানে জুগিয়েছেন অনুপ্রেরণা। ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি’—এ কালজয়ী গানের গায়ক ও সুরকার আপেল মাহমুদকে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এসে আবারও প্রমাণ করতে হলো তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

সম্প্রতি এক ব্যক্তি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) অভিযোগ করেন, আপেল মাহমুদ মুক্তিযোদ্ধা নন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার (২ জুন) বিকেলে কুমিল্লা সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত জামুকার শুনানিতে উপস্থিত হন তিনি। সেখানে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র ও সাক্ষ্য উপস্থাপন করে নিজের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেন আপেল মাহমুদ।

জামুকার মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন শুনানিতে বলেন, ‘আপেল মাহমুদ যথাযথভাবে প্রমাণ করেছেন তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি কেবল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীই ছিলেন না, অস্ত্র হাতে রণাঙ্গনেও যুদ্ধ করেছেন। সেকারণে তাঁকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি।’

আপেল মাহমুদ জানান, ‘মুক্তিযুদ্ধে আমি ক্যাপ্টেন মতিউর রহমানের কমান্ডে ৩ নম্বর সেক্টরে সরাসরি যুদ্ধ করেছি। নরসিংদী, ভৈরব, আশুগঞ্জ, হবিগঞ্জ, তেলিয়াপাড়া—এসব অঞ্চলে আমি অস্ত্র হাতে লড়েছি। আশুগঞ্জে যুদ্ধের সময় আমার বাঁ চোখের পাশে আঘাত লাগে। পরে আমাকে আগরতলায় নিয়ে যাওয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘২৫ মে কলকাতায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বড় পরিসরে যাত্রা শুরু করলে সেখানে আমি এবং আবদুল জব্বার একটি অনুষ্ঠান করি। সেখান থেকেই আমার বেতার কার্যক্রম শুরু হয়, যা ২০০৬ সালে অবসরের আগ পর্যন্ত চালিয়ে গেছি।’

অভিযোগকারী মনোয়ার হোসেন সম্পর্কে আপেল মাহমুদ বলেন, ‘আমি তার কোনো ক্ষতি করিনি। জানি না কেন তিনি আমার বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করলেন। এ ঘটনায় জামুকার সদস্যরাও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’

শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী নাসরিন মাহমুদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত শব্দসৈনিক মনোরঞ্জন ঘোষাল, বাংলাদেশ বেতারের সাবেক পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর হায়াত খান, সুভাষ সাহা প্রমুখ।

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, ‘শুনানির জন্য আমরা স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছি। বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে জামুকার প্রতিনিধিদল।’

উল্লেখ্য, আপেল মাহমুদ শুধু ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি’ গানটির জন্যই নয়, বরং দেশাত্মবোধক গান, গণসংগীত, লালনগীতি, রবীন্দ্রসংগীত ও আধুনিক গানে তাঁর অবদান অনন্য। ২০০৫ সালে সংগীতে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

শান্তিপূর্ণ পারমাণু কর্মসূচিতে ইরানকে সহায়তা দেবে রাশিয়া

  আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং রাশিয়া এতে সহায়তা করতে প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি...