Your Ads Here 100x100 |
---|
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় নির্বাচিত ১৯৩ জনের ফল স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন বলেছেন, প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত রোববার ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে ৫,৩৭২ জন নির্বাচিত হয়, যাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার ১৯৩ জন রয়েছেন।
কম নম্বর পেয়েও কোটার কারনে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন-এমন যুক্তি দিয়ে সমালোচনা করছেন কেউ কেউ। প্রকাশিত ফলকে ‘বৈষম্যমূলক’ দাবি করে রোববার রাতেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের একদল শিক্ষার্থী। তারা পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবি তোলেন ।

অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন আজ সোমবার বিকালে খবরের দেশকে বলেন, তাদের ফলাফল আপাতত স্থগিত করে রাখা হবে ।
কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তাদের কাগজপত্র যাচাই করা হবে। ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি- এই তিনদিন তারা সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আসবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ছাড়া অন্য কেউ এই তালিকায় রয়ে গেছে কি না তা আমরা যাচাই করব। যদি সন্তান ছাড়া অন্য কেউ লিস্টে থাকে, তাহলে তার স্থান পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
কম নম্বর পেয়েও ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে এমন কেউ সুযোগ পাবেনা ।

আবেদন অনলাইনে হওয়ায় এখানে সত্য না মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ নেই । কাগজপত্র যাচায় করবার আগ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটার ১৯৩ জনের ভর্তি বন্ধ থাকবে । বাকিদের ভর্তি কার্যক্রম চলবে।
অধ্যাপক রুবীনা আরো বলেন , কোটা বাতিলের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আদালত থেকে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেখানে মূল পরিবর্তন হলো- নাতি-নাতনির পরিবর্তে সন্তানের কথা বলা হয়েছে। অতএব কোটার বিষয়টিতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে এটা একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায়ও প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ছারা কেউ থাকলে তাদের ফলাফল বাতিল করা হবে ।