Your Ads Here 100x100 |
---|
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) পরিচালক হিসেবে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল এবং আমিনুল ইসলামকে পরিচালক মনোনীত করার সিদ্ধান্ত কেন আইন বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতেও নির্দেশ দেওয়া দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
এতে সভাপতি আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
আদালতে ফারুকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এবং বিসিবির পক্ষে আইনজীবী মাহিন এম রহমান। এছাড়া আমিনুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাসির উদ্দিন আহমেদ।
আদেশের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, আদালত রুল ও স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। অর্থাৎ যারা যেভাবে আছেন তারা সেভাবেই দায়িত্বে থাকবেন। এর ফলে বিসিবির বর্তমান পর্ষদের কারও কোনো দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা থাকছে না।
গত ১ জুন আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন বিসিবির সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ। রিটটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরিচালক ও বিসিবি সভাপতি পদে আমিনুল ইসলামের কার্যক্রম পরিচালনায় স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়।
রিটে যুব ও ক্রীড়া সচিব এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ পাঁচজনকে বিবাদীকে করা হয়। পরদিন সোমবার ওই রিটটি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কার্যতালিকা (আউট অব লিস্ট) থেকে বাদ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই রিট ফের হাইকোর্টের নতুন একটি বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিসিবির সাবেক পরিচালক জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমের জায়গায় ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীনকে বিসিবির পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয় এনএসসি। পরে বোর্ড সভায় পরিচালকদের ভোটে ফারুক আহমেদ সভাপতি নির্বাচিত হন।
গত ২৯ মে বিসিবি পরিচালক পদে ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে এনএসসি। পরদিন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করা হয়।