Your Ads Here 100x100 |
---|
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করার প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছিল। এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য ছিল অবৈধ অভিবাসী পরিবারের সন্তানের নাগরিকত্ব বন্ধ করা, যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪তম সংশোধনীর অধীনে সংবিধানিকভাবে নিশ্চিত করা রয়েছে।

যদি এই আদেশ কার্যকর হতো, তবে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী বা অভিবাসী অভিভাবকের সন্তানেরা, যারা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছেন, তাদের নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যেত। এর ফলে, তাদের আইনি অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ত এবং তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারত।
বিশেষভাবে, দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা থেকে আসা অভিবাসী পরিবারের শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতো, কারণ এসব পরিবার অনেক সময় যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে আসে এবং তাদের সন্তানরা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পায়। নাগরিকত্ব হারালে, তাদের সামাজিক এবং আইনি অবস্থান অনিশ্চিত হয়ে পড়ত, যা তাদের জীবনে বিপত্তি সৃষ্টি করত।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে, কিন্তু নাগরিকত্ব বাতিল হলে এসব সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত হতো, যা তাদের শিক্ষাগত এবং পেশাগত জীবনে সমস্যা তৈরি করত।
তবে, ১৪তম সংশোধনীর অধীনে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব একটি সাংবিধানিক অধিকার, এবং ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ কার্যকর করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে, যা আইনি ও সাংবিধানিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে।