Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করতে ইসরায়েল পরিচালিত ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ অভিযানে নিহত হয়েছেন ইরানের শীর্ষ তিন সামরিক কর্মকর্তা এবং ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী। শুক্রবার ভোরে একযোগে অন্তত ২০০ বিমান নিয়ে ইরানের অন্তত ৮টি স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডসের সর্বাধিনায়ক হোসেইন সালামি, সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাঘেরি এবং খাতাম-আল আনবিয়া সেন্ট্রাল সদর দপ্তরের কমান্ডার গোলামালি রশিদ। এছাড়া নিহত বিজ্ঞানীদের মধ্যে আছেন ফেরেদুন আব্বাসি, মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি, আলী শামখানি, আব্দুল্লাহ মিনৌচেহর, আহমাদ রেজা জলফাঘারি ও সায়েদ আমির হোসেন ফাকহি।
হামলার পরপরই ইরানও পাল্টা জবাবে শতাধিক ড্রোন ছুড়েছে ইসরায়েলের দিকে। এর মধ্যে বেশ কিছু ড্রোন প্রতিহত করা হয়েছে সিরিয়া, সৌদি আরব ও জর্ডানের আকাশে। পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, হামাসকে নির্মূল করার পর ইসরায়েলের নতুন লক্ষ্য এখন ইরান। এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রসহ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন, জর্ডান ও তুর্কি ইসরায়েলকে সহযোগিতা করছে। অন্যদিকে ইরান পাশে পাচ্ছে রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়াকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সংঘাত এখন আর সীমিত নয়। এটি মধ্যপ্রাচ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের সূচনা হতে পারে, যার প্রভাব পড়বে বিশ্ব রাজনীতিতেও। কূটনৈতিক সমাধানের পথ ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে।