Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের হওয়া ৩৫ হাজারের বেশি মামলা পাঁচ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি। খিলক্ষেত এলাকায় নয় বছর আগে এক নয় বছরের শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলা এখনও বিচারাধীন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হলেও ৯৬টি শুনানি সত্ত্বেও মামলা শেষ হয়নি।
আইনের ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার বিধান থাকলেও সাক্ষীদের অনুপস্থিতি, অপর্যাপ্ত তদন্ত ও বিচার কার্যক্রমে গতি না থাকা প্রধান কারণ। খিলক্ষেত ট্রাইব্যুনালের বিচারক বলেন, ‘সাক্ষীদের হাজির না হওয়ায় মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে।’ চারজন সাক্ষীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলেও তারা আদালতে হাজির হয়নি।
দেশজুড়ে এই আইনে মোট ১ লাখ ৪৮ হাজার মামলা বিচারাধীন রয়েছে। গত এক বছরে ৩৩ হাজারেরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাক্ষীরা হাজির না হওয়া, রাষ্ট্রপক্ষের অনীহা ও উচ্চ আদালতের আদেশে বিচার স্থগিত হওয়াই মূল বাধা।
২০১৬ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়, যা বর্তমানে কার্যকর নয়। সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, এখন ১৩টি কমিটি দ্রুত বিচার কার্যক্রম তদারকি করছে। আইন মন্ত্রণালয় ১০১টি ট্রাইব্যুনাল চালাচ্ছে এবং আরও ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের আন্তরিকতা ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে আলাদা সচিবালয় প্রয়োজন।’ ডাক্তারি পরীক্ষার ক্ষেত্রে ডিএনএ রিপোর্ট দীর্ঘ সময় নেয়া, সাক্ষীদের নিরাপত্তা সংকট ও স্থানীয় প্রভাবশালীর হস্তক্ষেপ বিচার বিলম্বের কারণ।
এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘বিচার দ্রুত করার জন্য কাজ চলছে।’ তবে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিরও জোরালো আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা, যাতে নির্যাতিতারা বিচার পেতে ভীত না হন।