Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
রাত ২টা ১৫ মিনিট। ঢাকা থেকে নির্ধারিত ফ্লাইট নিয়ে রিয়াদের উদ্দেশে উড্ডয়ন করি আমরা—আমি ক্যাপ্টেন ইনাম তালুকদার এবং কো-পাইলট রাফসান রিয়াদ। আবহাওয়া ছিল শান্ত, সবকিছু ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু সেই স্বাভাবিকতা ভেঙে যায় পারস্য উপসাগরের আকাশে।
বাহরাইনের আকাশ পেরিয়ে ইরানের সীমান্তের কাছাকাছি পৌঁছাতেই হঠাৎ দেখি উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি। প্রথমে মনে হয়েছিল কোনো সামরিক মহড়া চলছে। কিন্তু মুহূর্তেই বুঝতে পারি—তা নয়। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে উঠছে, তীব্র গতিতে পশ্চিম দিকে ছুটে যাচ্ছে। সেই মুহূর্তে আমাদের ফ্লাইট মাত্র কয়েক মাইল দূরে।
কো-পাইলট রাফসান হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে। আমি দ্রুত ফ্লাইট রুট পরিবর্তনের কাজ শুরু করি। চিন্তা একটাই—একটা ক্ষেপণাস্ত্রও যদি পথ ভুল করে আমাদের দিকে আসে?
আমরা ধীরে ধীরে নিরাপদ দূরত্বে চলে যাই। রিয়াদে নিরাপদ অবতরণের পর খবরের শিরোনাম: “ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।”
বিমানের যাত্রীরা কিছুই টের পাননি, কিন্তু আমি জানি, সেদিন ইতিহাসের এক ভয়ংকর মুহূর্তকে কাছ থেকে দেখেছি। যে আকাশ দিয়ে প্রতিদিন হাজারো উড়োজাহাজ উড়ে, তা এখন আর কেবল ট্রানজিট করিডোর নয়, বরং যুদ্ধের ছায়ায় ঘেরা এক অনিশ্চিত গন্তব্য।
প্রশ্ন একটাই—আমরা যাঁরা আকাশে উড়ি, আসলে কতটা নিরাপদ?
— ক্যাপ্টেন ইনাম তালুকদার