Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে স্পষ্ট করে বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মে মাসের চার দিনের সংঘর্ষের পর যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে, তা কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় নয়, বরং সরাসরি দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে।
ট্রাম্প গত মাসে দাবি করেছিলেন যে, আমেরিকার মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে এবং তিনি উভয় দেশকে যুদ্ধের পরিবর্তে বাণিজ্য নিয়ে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে মোদি এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “এই সময়ে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি বা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কিত কোনো বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।”
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এক বিবৃতিতে জানান, মোদি ট্রাম্পকে পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে, ভারত অতীতে কখনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা মেনে নেয়নি এবং ভবিষ্যতেও নেবে না। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনা সরাসরি পাকিস্তানের অনুরোধে ভারত-পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান যোগাযোগ চ্যানেলের মাধ্যমে হয়েছে।
এই ফোনালাপটি কানাডার জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মোদি অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ফোনালাপটি ৩৫ মিনিট স্থায়ী হয়। হোয়াইট হাউস এখনও এই ফোনালাপ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।
পাকিস্তান পূর্বে জানিয়েছিল যে, ৭ মে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ফোনকলের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছিল।
এদিকে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে উভয় দেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন এবং আমেরিকার মধ্যস্থতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের দুই প্রতিবেশীকে কূটনৈতিক মাধ্যমে পার্থক্য সমাধানে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।”
বিশ্লেষকরা মনে করেন, যদিও যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাগত জানানো হয়েছে, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদী শান্তির জন্য যথেষ্ট নয়। দুই দেশের মধ্যে আস্থার ঘাটতি এবং কাশ্মীর ইস্যু এখনও সমাধানহীন। তাছাড়া, উভয় দেশ একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে, যা পরিস্থিতির অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে।