Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্ক :
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় ব্যাগে অস্ত্রের গুলি রাখার ম্যাগাজিন পাওয়ার ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, ‘প্যাকিং করার সময় অস্ত্রসহ একটি ম্যাগাজিন বাসায় রেখে এলেও ভুলবশত আরেকটি ম্যাগাজিন ব্যাগে থেকে যায়।’
‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে’ অংশ নিতে মরক্কোর মারাকেশে যাওয়ার সময়ে গতকাল রোববার সকালে বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় উপদেষ্টার ব্যাগে ম্যাগাজিনের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এর ব্যাখ্যায় আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে আমার লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র আছে। গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বের ওপরে যেভাবে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে কয়েক দফা, তাতে রাখাটাই স্বাভাবিক। যখন সরকারি প্রটোকল বা সিকিউরিটি থাকে না, তখন নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে লাইসেন্সড অস্ত্র রাখা।’
আগ্নেয়াস্ত্রের নীতিমালা অনুযায়ী ৩০ বছরের বেশি বয়সী এবং আগের তিন অর্থবছরে এক থেকে তিন লাখ আয়কর পরিশোধকারী ব্যক্তিই লাইসেন্স পেতে পারেন। এ নিয়মের ফলে ২৭ বছরের আসিফ কীভাবে লাইসেন্স পেয়েছেন– এ প্রশ্ন ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যদিও নীতিমালায় বলা হয়েছে, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সমমর্যাদার ব্যক্তির জন্য আয়করের শর্ত প্রযোজ্য নয়। ৩২(২) ধারা অনুযায়ী, মন্ত্রী পদমর্যাদার ব্যক্তিদের জন্য উপদেষ্টার পদ মন্ত্রী মর্যাদার হওয়ায় আসিফের লাইসেন্স পেতে বাধা নেই।
বিমানবন্দরে গুলি-অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ। তার পরও ব্যাগে ম্যাগাজিন ব্যাখায় আসিফ লিখেছেন, ‘বিষয়টি সম্পূর্ণ আনইন্টেনশনাল। শুধু ম্যাগাজিন দিয়ে আমি কী করব ভাই? ইন্টেনশন থাকলে অবশ্যই অস্ত্র রেখে আসতাম না।’
আসিফ মাহমুদের ব্যাগের গুলি ম্যাগাজিন পাওয়ার খবর রোববার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়। কিছুক্ষণ পর ব্যাখ্যা ছাড়াই এ খবর সরিয়ে নেওয়া হয়। চাপ দিয়ে সংবাদ সরানোর অভিযোগ নাকচ করেছে করেছেন উপদেষ্টা। তিনি লিখেছেন, ‘এই ঘটনার পর আমি টিমসহ টানা ১০ ঘণ্টা ফ্লাইটে ছিলাম। ট্রানজিটে নেমেও দীর্ঘক্ষণ পর অনলাইনে এসে দেখতে পাচ্ছি, যে এত কিছু ঘটেছে। নাগরিক হিসেবে আপনারও যদি নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে, যথাযথ নিয়ম ফলো করে আপনিও অস্ত্রের লাইসেন্স করতে পারেন।’