Your Ads Here 100x100 |
---|
বিনোদন ডেস্কঃ
“নারীর বার্ধক্য আজও নিষিদ্ধ। তাই সেই বার্ধক্যকে জীবন দিয়েও যেন আটকে রাখতে হয়”—সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনই একটি জ্বালাময়ী পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী ও কলামিস্ট দিনাত জাহান মুন্নি। সম্প্রতি হৃদ্রোগে প্রয়াত ভারতীয় অভিনেত্রী শেফালী জড়িওলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই পোস্টে উঠে আসে নারীর সৌন্দর্য, বয়স এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির এক কঠিন বাস্তবতা।
মুন্নি তার পোস্টে লেখেন, ”২৭ তারিখ সারাদিন উপোস ছিলেন শেফালী, কিন্তু বার্ধক্যরোধী এন্টি-এজিং ডোজটা নেননি ভুলে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেটিই তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণ।” তিনি আরও বলেন, “বার্ধক্য তো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। চামড়া শিথিল হবে, রিঙ্কেল পড়বে, এটাই তো জীবনের বাস্তবতা। অথচ এই স্বাভাবিক সত্যটাই সমাজের কাছে অস্বাভাবিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত।”
পাবলিক ফিগার নারীরা বিশেষভাবে এই চাপের মধ্যে থাকেন বলে মনে করেন মুন্নি। তিনি লেখেন, “একজন নারী ৪০ পেরোলেই সমাজ তাকে ‘বুড়ি’ বলে ট্যাগ দেয়। বিশেষ করে গ্ল্যামারাস বা সুন্দরী হলে তো কথাই নেই, কুৎসিত মন্তব্য আর রসিকতার শিকার হতে হয় প্রতিনিয়ত।”
শেফালীর মৃত্যু যেন এ প্রজন্মের নারীদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল—কী ভয়াবহভাবে সমাজ এখনো নারীকে বয়সে আটকে রাখে। মুন্নি মনে করেন, এখন সময় এসেছে নারীরা যেন গর্ব করে তাদের বলিরেখা দেখাতে পারেন, আত্মবিশ্বাসে নিজেদের আত্মচেতন করে তুলতে পারেন। সমাজের চোখে চোখ রেখে তারা যেন বলতে পারেন—”আমার বয়স আমার শক্তি, আমার ইতিহাস।”
শেষে মুন্নির আহ্বান, “যেদিন সমাজ নারীর বয়সের গর্বকে স্বীকৃতি দেবে, সেদিনই নারীরা হবে সত্যিকারের ‘বোল্ড অ্যান্ড বিউটিফুল’।