Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
স্পেনের সেভিল শহরে অনুষ্ঠিত এক-দশক-পর-হওয়া জাতিসংঘ ‘আর্থ-উন্নয়ন অর্থায়ন সম্মেলন’-এ তীব্র গরম ও উপস্থিতি সংকটে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য, ঋণ-সংকট ও জলবায়ু সংকট নিয়ে কার্যকর সহায়তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা ও বাস্তব পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা আরও জোরালোভাবে উঠে এসেছে ।
শীর্ষ পর্যায়ে সাধারণভাবে ৭০টি রাষ্ট্রপ্রধান আশা করা হলেও, শেষ পর্যন্ত মাত্র ৫০ জনই অংশ নেন, তারমধ্যেও মাত্র এক জন ছিলেন G7 নেতা — ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল ম্যাকরোঁ। অন্যান্য গণপ্রতিনিধির অনুপস্থিতি ও র্যাকিংয়ের বৈপরীত্যে সম্মেলন নানা প্রতিবন্ধতার সম্মুখীন হয়।
তবে ‘সেভিল কমিটমেন্ট’ নামে এক আউটপুট ডকুমেন্ট গৃহীত হয়েছে। এতে বহুপাক্ষিক ঋণদান বৃদ্ধির অঙ্গীকার, ঋণ শিথিল, অর্থকরন ব্যবস্থার সংস্কার, কর সংযোজনসহ ডেবিট রক্তচাপের (গ্রিড) উন্নতিসহ উন্নয়ন ও জলবায়ু লগ্নি বৃদ্ধির পথ নির্দেশ করা হয়েছে ।
গত কয়েক বছরের তুলনায় বিশ্ব উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) বাস্তবায়নে জাতিসংঘের অগ্রগতি ক্ষীণ—সেখানে বার্ষিক প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের তহবিল ঘাটতি রয়েছে ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জিডিপি-র অন্তত ১৫% পর্যন্ত সময়মত কর আয়, IMF-এর ‘স্পেশাল ড্রয়িং রাইট’ পুনঃবণ্টন ও বেসরকারি খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ কোনো পথে ভরসা জোগাতে পারে ।
তবে তারা সতর্ক—এই সম্মেলনে সম্পাদিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা অপরিহার্য। উন্নত দেশগুলো যদি যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বাড়াতে থাকে, নিম্ন আয়ের দেশগুলো আগে-যত্নে দেশের ইন্নোলর্থকে উপেক্ষা করতে পারে ।
দলীয় প্রতিনিধিরা, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা ফাঁকা চেয়ার দেখেই বুঝেছেন—বড় বড় প্রতিশ্রুতির বিপরীতে বাস্তব দায়িত্ব-নিশ্ছলতা। তবে প্রেসিডেন্ট গুতেরেস, ম্যাক্রোঁ ও স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজসহ অনেকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন—এটাই সম্মেলনের সূচনা, এগিয়ে চলা যেতে হবে, না হলে লক্ষ্য কঠিনতর হয়ে দাঁড়াবে।
সূত্র: রয়টার্স