- Advertisement -
Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্ক :
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব কোনো পলিটিক্যাল ফোর্সের হাতে ছিল না বলে দাবি করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে একটা সময় আই হেট পলিটিকস হ্যাশট্যাগটা খুব পপুলার হয়ে যাচ্ছিল। যারা এসব করছিলেন, এখন তারাই আরো বেশি করে রাজনীতিতে জড়িত হচ্ছেন।
সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত এক বছরে ১০০টির বেশি রাজনৈতিক দল তাদের নিবন্ধন জমা দিয়েছে। একটা দলের শুধু কেন্দ্রীয় কমিটিতে যদি ২০ জন করে লোক থাকে, তাহলে কতজন হয়? আবার প্রতি জেলা কমিটিও আছে। প্রতিনিয়তই মানুষ রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। এর মানে হলো রাজনীতির প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে।
সোসাইটিকে রাজনীতিই ডমিনেট করে, এটা সবাই এখন বুঝতে পেরেছেন। এটাই বাস্তব, রাজনীতি সব কিছুকে পরিচালনা করে। সেটা অর্থনীতি হোক কিংবা সংস্কৃতি। কিন্তু যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলেন, তাদের কোনো রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নেই।
মান্না বলেন, প্রফেসর ইউনূস নিজেও বলেছেন— আমার সঙ্গে যারা উপদেষ্টা পরিষদে আছেন, তারা নিজের জায়গায় খুবই সাকসেসফুল। কিন্তু যেই জায়গায় তারা এলেন, এই জায়গায় তাদের কোনো ট্র্যাক রেকর্ডই নেই। যদি ড. ইউনূসের কথা ধরেন, উনি নাগরিক শক্তি করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পারেননি, ছেড়ে এসেছেন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, আমি জানি ড. ইউনূস রাজনীতিতে খুব কমফর্টেবল নন।
উনি দায়িত্ব নেওয়ার পর, গত এক বছরের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছেন, এমন কোনো উদাহরণ নেই।
মান্না আরো বলেন, যে আমলা বা ব্যবসায়ী কোনো সোশ্যাল অ্যাক্টিভিটিতে নেই, সেই মানুষগুলো নতুন কোনো কিছুকে এনকাউন্টার করতেই একটু হেজিটেট ফিল করেন, বিব্রত বোধ করেন। ড. ইউনূসের সরকার রাজনীতিতে এসে এক বছরে রাজনীতিটা মোকাবেলা করতে পারেননি। ওনারা এ রকম একটা আচরণ প্রথম দিকে করেছেন, যেন ওনারা রাজনীতি করছেন না।