Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ঝাড়সুগুদা জেলা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে আটক করা হয়েছে ৪৪৪ জনকে। সোমবার (৮ জুলাই) রাত থেকে শুরু হওয়া এক বিশেষ অভিযানে এই বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিকে আটক করে রাজ্য পুলিশ। বর্তমানে তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বিশেষ আটককেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি ও ওডিশা বাইটস।
রাজ্য পুলিশের উত্তরাঞ্চলের মহাপরিদর্শক (আইজি) হিমাংশু কুমার লাল জানিয়েছেন,
“আটকদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় নির্মাণকাজ, দিনমজুর কিংবা ফেরিওয়ালার কাজ করছিলেন। তাদের বৈধতা যাচাই চলছে।”
তিনি বলেন,
“যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দেশে ফেরত পাঠানো হবে।”
আটকদের মধ্যে ২৬৫ জনকে অস্থায়ীভাবে সুরভি কল্যাণ পূজা মণ্ডপে এবং বাকিদের ব্ল্যাক ডায়মন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজ চত্বরে তৈরি হোল্ডিং সেন্টারে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরিচালিত এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল—ঝাড়সুগুদা জেলায় বসবাসরত অবৈধ বিদেশিদের চিহ্নিত করা, বিশেষ করে যাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি অভিবাসী ও রোহিঙ্গা হিসেবে বসবাসের অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, পরিচয় যাচাই ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে, অভিবাসন আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র না থাকলে এসব ব্যক্তি ভারতে থাকার অনুমতি হারাবেন এবং দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই ঘটনায় ঝাড়সুগুদা জেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এলাকায়।