Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
সিরিয়ায় পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে টিকে থাকা আসাদ শাসনের অবসান ঘটেছে অবশেষে। রোববার ভোরে বিদ্রোহী বাহিনী দামেস্কে প্রবেশ করে সিরিয়াকে “মুক্ত” ঘোষণার পর সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে। এখনো নিশ্চিত নয়, কোন দেশ তাকে আশ্রয় দেবে।
এই নাটকীয় পতন এক সপ্তাহ আগেও কল্পনা করা কঠিন ছিল। নভেম্বরের ২৭ তারিখ শুরু হয় ‘অপারেশন ডিটারেন্স অব আগ্রেশন’ নামে বিদ্রোহীদের সম্মিলিত হামলা। হায়াত তাহরির আল-শাম (HTS)-এর নেতৃত্বে এই আক্রমণে অংশ নেয় তুরস্ক-সমর্থিত অন্যান্য বিদ্রোহী দলও।
প্রথমেই তারা আইদলিব-আলেপ্পোর সীমান্তে আক্রমণ চালায়, তিন দিন পর দখলে নেয় সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো। এরপর বিদ্রোহীরা দ্রুত অগ্রসর হয়ে হামা, হোমস এবং দেরা প্রদেশ দখল করে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সংঘর্ষ ছাড়াই সেনারা পিছু হটতে শুরু করে। সৈন্য এবং পুলিশদের অনেকে অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যান।
বিমানবাহিনী ও সরকারি ভবনগুলোর নিয়ন্ত্রণও একে একে চলে যায় বিদ্রোহীদের হাতে। অবশেষে সেদনায়া কারাগারের দরজাও খুলে যায়—স্বৈরশাসনের এক প্রতীকের পতন ঘটে।
আসাদের পতনের পেছনে রয়েছে অর্থনৈতিক ধস, জনপ্রিয়তা হারানো এবং রুশ-ইরানি সহায়তার অভাব। এখনও আসাদের অবস্থান জানা যায়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজী আল-জালালী রয়ে গেছেন এবং একটি শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ইঙ্গিত দিয়েছেন। সূত্রঃ আলজাজিরা