Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
‘চা পাতার ভর্তা আর আটার রুটি খেয়েই চলে দিন’—এই কথাটি যেন মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকদের জীবনের বাস্তব চিত্র। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা খেটে চলেছেন তারা, অথচ জীবনমান রয়ে গেছে ন্যূনতমের নিচে।
বুধবার (২৩ জুলাই) কমলগঞ্জ উপজেলার পদ্মছড়া চা বাগানে দেখা যায়, দুপুর ২টার দিকে চা পাতা তোলা শেষে ওজনের অপেক্ষায় ছিলেন নারী শ্রমিকরা। দীর্ঘ পরিশ্রমের পরও দুপুরের খাবারে থাকে রুটি, মুড়ি আর ‘পাতিচখা’—চা পাতার ভর্তা। পুষ্টির অভাব এখানকার প্রতিটি পরিবারেই প্রকট।
চা শ্রমিকদের অনেকেই বলেন, বছরের পর বছর ধরে তারা এমনভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন। কেউ সকালে না খেয়ে আসেন, কেউ বা পোটলায় করে আনে সামান্য খাবার। তাদের দিনের শুরু হয় সংসার সামলে, রান্না করে—তারপর মাঠে গিয়ে কাজ।
মৌলভীবাজার জেলায় রয়েছে ৯২টি চা বাগান। নারী শ্রমিকদের একটা বড় অংশ এখনো ন্যায্য মজুরি, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ আবাসন ও শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত।
মাধবপুর চা বাগানের কয়েকজন শ্রমিক বলেন, “কাজ না করলে আয় নেই, আয় না হলে খাবার জোটে না।”
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, “প্রশাসন সবসময় চা শ্রমিকদের পাশে রয়েছে। কেউ অসুস্থ হলে বা কোনো সমস্যা হলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।”