Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
ইলিশের মৌসুম চলছে পুরোদমে, কিন্তু বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিষখালী নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না। প্রতিদিন শত শত জেলে নদীতে গেলেও ফিরে আসছেন হতাশ হয়ে। অনেক সময় জালে উঠে আসে মাত্র ২-৪টি ছোট ইলিশ, কখনো একটিও নয়।
জেলেদের অভিযোগ, নদীতে ইলিশ কমে যাওয়ায় আয়-রোজগার বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন, দিনভর জাল ফেলেও ন্যূনতম খরচ ওঠে না। যে মাছ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোর ওজন ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রাম মাত্র। বড় ইলিশ তো প্রায় মিলছেই না। ফলে বাজারে ইলিশের দাম পৌঁছে গেছে আকাশছোঁয়া উচ্চতায়।
বেতাগীর ঝোপখালী গ্রামের জেলে মোশারেফ হোসেন বলেন, “আগে বিষখালী নদীতে প্রচুর ইলিশ মিলত, এখন সারারাত জাল ফেলেও মাছ পাওয়া যায় না।” আরেক জেলে জলিল হাওলাদার জানান, “প্রতিদিন জ্বালানি, বরফ ও খাবারসহ খরচ হচ্ছে দেড় হাজার টাকা, কিন্তু আয় মাত্র ৫০০ টাকারও কম।”
বেতাগী বাজারে ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩০০-১৫০০ টাকায়। আর এক কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম ১৮০০-২০০০ টাকা। ফলে সাধারণ মানুষ ইলিশ কেনা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন।
জেলেরা অভিযোগ করেন, বিষখালী নদীতে বালুচর জমে নাব্যতা কমে গেছে। তীব্র খরা, শিল্পবর্জ্য ও অবৈধ জালের ব্যবহারে নদীর পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় ইলিশের আগমন কমেছে।
বেতাগী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. তুরান জানান, ইলিশ চলাচলের বাধা দূর করতে প্রশাসন ও টাস্ক ফোর্স মাঠে কাজ করছে এবং জেলেদের সচেতন করা হচ্ছে।