Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
লক্ষ্মীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত কাউছার হোসেন বিজয়এর পরিবার দান‑অনুদান নয়, বিচার চায় বলে অবস্থান জানিয়েছে। তাঁর মা জোসনা আক্তার ও বাবা ইসমাইল হোসেন বলেছেন, “কাউছারসহ সব হত্যার বিচার চাই, দান‑অনুদান নয়”।
কাউছার ছিলেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পরিবার জানায়, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, তবে ছাত্র হিসেবে কোটা বাতিল ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। ৪ আগস্ট সকালে নির্ধারিতভাবে আন্দোলনে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
মা বলেন, ক্যাম্পাসে গেলে বাধা দিলেও কাউছার বাধা অগ্রাহ্য করে বেরিয়ে যায় এবং বলে “মা, আমি ফিরে আসব”। পরে ফোনে জানায় ক্ষণিক অবস্থান নিরাপদে আছে। দুপুরে খবর পাওয়া যায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি — শেষ পর্যন্ত জীবনের সঙ্গে লড়াইতে পরাজিত হন উপস্থিত হননি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার স্বপ্নে।
বাবা ইসমাইল বলেন, “সে বাবার স্বপ্ন ছিল বিসিএস ক্যাডার হবে। কবিতা ও গল্প লিখতো।” কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। তার কবিতা‑গল্প পড়ে পরিবারের চেষ্টা করি শূন্যতা মেটাতে।
ছোট ভাই আমিন বলেন, “আমিও গোপনে আন্দোলনে গিয়েছিলাম, কিন্তু ভাইয়ার মৃত্যুর পর আমরা হত্যার বিচার চাই।”
প্রসঙ্গত, ৪ আগস্ট সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ছাত্রদের আন্দোলন ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের সংঘর্ষে কাউছারসহ চারজন শিক্ষার্থী নিহত হন। এতে দেশজুড়ে ছাত্রদের ন্যায্য অধিকার ও নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা বেড়ে যায়।
কাউছার পরিবারের আবেদন — নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় আনা হোক, যাতে তাঁদের স্বপ্ন ও আত্মত্যাগ বৃথা না যায়।