Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
মিয়ানমার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে। ভূরাজনৈতিক স্বার্থে মিয়ানমারের বিরল খনিজ (রেয়ার আর্থ মিনারেল) ঘিরে ট্রাম্প প্রশাসন সামরিক জান্তার সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের পরিকল্পনায় এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারকে নিজেদের সরবরাহ শৃঙ্খলে যুক্ত করতে চাইছে চীনের একক নিয়ন্ত্রণ ঠেকাতে। ফলে মানবাধিকার নয়, যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ এখন অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এরই মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্ধারিত তহবিলে বড় ঘাটতির ফলে খাদ্য, স্বাস্থ্য ও আশ্রয়সহ জীবন রক্ষাকারী সেবায় বিঘ্ন ঘটছে।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, কাচিন প্রদেশের বিরল খনিজ সম্পদ চীনের একচেটিয়া ব্যবহার থেকে ছিনিয়ে নিতে জান্তা সরকারের সঙ্গে সমঝোতার পথ খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ হ্রাস পেলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুধু দূরহই নয়, প্রায় অবাস্তব হয়ে উঠতে পারে।
বাংলাদেশের শরণার্থী কমিশনার মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকা বা না থাকা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় তেমন প্রভাব ফেলে না। কারণ বর্তমানে রাখাইনে মিয়ানমার সরকারের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নেই, অধিকাংশ অঞ্চলই আরাকান আর্মির দখলে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০২৫-২৬ সালের যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনায় প্রথম বছরের ৯৩ কোটি ডলার আহ্বানের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এসেছে মাত্র ৩৯ কোটি ডলার। ফলে বিপাকে পড়েছে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণ।