28.4 C
Dhaka
মঙ্গলবার, আগস্ট ৫, ২০২৫

জনগণ যাদের ডাকে হাসিনাকে পরাজিত করেছে,তারা নিজেরাই নেতৃত্ব নিতে সাহস করেননি : সলিমুল্লাহ খান

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
খবরের দেশ ডেস্ক :
একাত্তরে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো প্রস্তুতি ছিল না স্বাধীনতার জন্য। ইন্দিরা গান্ধীর অনুমতি নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে হয়েছে। ১৯৭১-এর ২৫শে মার্চ থেকে ১০ই এপ্রিল পর্যন্ত এত সময় লাগলো? এটাতেই প্রমাণ, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের জন্য দল হিসেবে প্রস্তুত ছিল না। ব্যক্তি হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ থাকতে পারেন। অনেকে বলবেন, তিনি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কেন দেখা করলেন? দেখা করা ছাড়া উপায় কি? আওয়ামী লীগের সময় ছিল। ’২৪ বিপ্লবীদের সময় ছিল না। তাদের যখন ধরে নিয়ে যেয়ে পেটানো হলো:
তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাদের রাজনৈতিক সংগঠন না থাকলেও গোটা দেশ তাদের নেতৃত্বের অপেক্ষায় ছিল। জিয়াউর রহমান যেভাবে ’৭১ সালে নেতা হয়েছেন শেখ মুজিবের অনুপস্থিতিতে। তাজউদ্দীনও বলেছিলেন, জিয়াউর রহমানের বক্তব্য শুনে তিনি উজ্জীবিত হয়েছেন। যিনি পরবর্তীতে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন, যার অধীনে তিনি সেক্টর কমান্ডার হবেন তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু ওই বিপ্লবের মুহূর্তে সেক্টর কমান্ডার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এখানেও তাই। এই বিপ্লবের প্রকৃত নেতা নাহিদ ইসলাম। ক্ষমতায় নাহিদ ইসলামের প্রধান উপদেষ্টা হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবতা এই: তিনি ইউনূসকে ডেকেছেন। বলেছেন, আমি পারবো না। নাহিদের চেয়ে সামান্য বেশি বয়স ছিল ফিদেল ক্যাস্ট্রোর। ক্যাস্ট্রোর হাতে বন্দুকও ছিল। ফিদেল ক্যাস্ট্রো প্রথমে আরেকজনকে প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করেছিলেন। এই আন্দোলনের কাঠামোগত দুর্বলতা হলো, জনগণ যাদের নেতা মেনে হাসিনাকে পরাজিত করেছে তারা নিজেরাই নেতৃত্ব নিতে সাহস করেননি। তারা আরেকজনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে এসেছেন। তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া আছে। এক বছর পর মনে হচ্ছে ক্ষমতা আবারো পুরনো নহরে, পুরনো চ্যানেলে প্রবাহিত হচ্ছে। বড় আকারে মৌলিক পরিবর্তন আশা করা যাবে না। আহা!
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

বোরহানউদ্দিন উপজেলায় জুলাই শহীদদের সমাধিতে উপজেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ

আবু মাহাজ ,ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় জুলাই শহীদদের সমাধিতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করা হয়েছে। আজ ৫ আগষ্ট সকালে মান্যবর...