এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আজকের দিনে শিবির একাত্তর আর চব্বিশকে যেভাবে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে একটা ন্যারেটিভ সাজানোর চেষ্টা করেছে, এটা জুলাই অভ্যুত্থানকে এক ধরনের অপমানের শামিল।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। প্রদর্শনীতে যুদ্ধপরাধের দায়ে অভিযুক্ত একাধিক ব্যক্তির ছবি সাঁটিয়েছিল সংগঠনটি।
তবে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র ও ঢাবি শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ৯ মিনিটে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানান।
পোস্টে উমামা লেখেন, ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই বাংলাদেশের জন্ম, আর ২৪-এর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৭ বছরের স্বৈরাচারী ব্যবস্থার পতন। জনগণের সংগ্রামের ধারায় বাংলাদেশের ইতিহাস নির্মিত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ছবির প্রতি চূড়ান্ত ঘৃণা জানিয়ে দিলাম। জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূতিকে বিতর্কিত করে ৭১-এর মুখোমুখি দাঁড় করানোর এক ঘৃণ্য প্রচেষ্টা করেছে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির। এই ছবি আমাদের লাখো শহীদের রক্তের প্রতি, আমাদের জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের প্রতি চূড়ান্ত অসম্মান।’
বাম ছাত্র সংগঠন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নেতাকর্মীদের আপত্তির মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা শিবির আয়োজিত ‘আমরাই ৩৬ জুলাই : আমরা থামব না’ থেকে মতিউর রহমান নিজামী, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে’ দণ্ডিত নেতাদের ছবি সরিয়েছে ঢাবি প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাবির টিএসসিতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।