সুরভী আক্তার (১৯) ওই এলাকার নুর হোসেন বাবুর বড় মেয়ে। আর ইয়ং সাও চীনের জিয়াংশু সিটির বাসিন্দা মৃত ইয়াং শি এবং মা লিও ট্যাংহু দম্পতির ছেলে।
এক বছর আগে ‘হ্যালো ট্যাগ’ অ্যাপসের মাধ্যমে সুরভী আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয় ইয়ং সাও সাওয়ের। গুগল ট্রান্সলেটের মাধ্যমে শুরু হয় তাদের কথোপকথন। আস্তে আস্তে সেটি রূপ নেয় ভালোবাসায়। আর সেই ভালোবাসার টানেই ইয়ং সাও চলে এসেছেন বাংলাদেশের দিনাজপুরে।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট তিনি বাংলাদেশে আসেন এবং ৯ আগস্ট প্রেমিকাকে বিয়ে করেন।
সুরভী আক্তার বলেন, ‘হ্যালো ট্যাগ নামে একটি অ্যাপসের মাধ্যমে আমাদের পরিচয় হয়। তারপর শুরু হয় কথা, এক সময় শুরু হয় মন দেওয়া-নেওয়া। আমাদের সম্পর্ক এক বছর হলো। পরে সে বাংলাদেশে এসে আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমি তাকে জানাই, যদি আমার ধর্ম গ্রহণ করতে পারো তাহলে আমি তোমাকে বিয়ে করতে রাজি আছি। পরে সে বাংলাদেশে আসে এবং আমাকে বিয়ে করে। আমার পরিবার ও এলাকাবাসী অত্যন্ত খুশি।’
সুরভীর ছোট বোন রিয়া আক্তার বলেন, ‘আমি খুব খুশি হয়েছি। আমার দুলাভাই চীনা নাগরিক। এটা আমার কাছে গর্ব করার মত। কারণ আমার বোনের ভালোবাসার টানে বাংলাদেশ এসেছে এবং বিয়ে করেছে। আমি দুলাভাইয়ের সঙ্গে মোবাইলে ট্রান্সলেট ব্যবহার করে কথা বলছি। আমার পরিবারের সবাই খুশি হয়েছি।’
সুরভীর বাবা নুর হোসেন বাবু বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে। তারা মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকে। আমার বড় মেয়ের সঙ্গে চীনা নাগরিকের পরিচয় হয় এবং তারা একে অপরকে পছন্দ করে। বাংলাদেশে এসে সে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছে। এটা জানার পর ৯ আগস্ট আমি তাদের ঢাকার গাজীপুর থেকে দিনাজপুরে নিয়ে এসেছি।’
বর্তমানে সুরভীর বাড়ীতে গ্রামের নারী-পুরুষ ও শিশু-বয়স্ক সকলেই এসেছেন চীনা নাগরিক ইয়ং সাওকে দেখতে। কেউ কেউ কথা বলার চেষ্টা করছেন। এ সময় নতুন জামাই মোবাইল ট্রান্সলেট ব্যবহার করে উত্তর দিচ্ছেন।