- Advertisement -
Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্ক :
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্ট লেডি কিম কিয়ন হিকে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। কিম কিয়ন হি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তদন্ত পরিচালনাকারী বিশেষ কৌঁসুলি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই প্রথম কোনো দক্ষিণ কোরীয় ফার্স্ট লেডি গ্রেপ্তার হলেন। তার স্বামী ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলও এখন কারাগারে বন্দি রয়েছেন। সামরিক শাসন চাপিয়ে দেওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার দায়ে ক্ষমতা হারান এই সাবেক প্রেসিডেন্ট। তিনিও বর্তমানে বিচারের মুখোমুখি।
মঙ্গলবার সকালে আদালতে হাজির হওয়ার সময় কিম কালো স্যুট পরে ছিলেন এবং মাথা নত করে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। তবে তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি কিংবা কোনো বিবৃতি দেননি। শুনানি শেষে তিনি সিউলে একটি ডিটেনশন সেন্টারে চলে যান, যা প্রথাগত প্রক্রিয়ার অংশ।
বিশেষ কৌঁসুলি দপ্তরের এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, আদালত কিম কিয়ন হির গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করেছে।
যদিও পুরো মামলার বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, শেয়ার বাজারে প্রতারণা, ঘুষ গ্রহণ, অবৈধভাবে প্রভাব খাটানো। এই অভিযোগগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়ী, ধর্মীয় নেতাসহ রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে।
২০২২ সালে ন্যাটো সম্মেলনে স্বামীর সঙ্গে অংশ নেওয়ার সময় কিম একটি ভ্যান ক্লিফ পেনড্যান্ট পরেছিলেন, যার মূল্য ৬ কোটি ওনের (প্রায় ৪৩ হাজার মার্কিন ডলার) বেশি বলে অভিযোগ। আইন অনুযায়ী তাদের আর্থিক বিবরণীতে এটি উল্লেখ করা হয়নি।