Your Ads Here 100x100 |
---|
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এক চাঞ্চল্যকর ভুলের কারণে দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনের সম্পাদক জেফরি গোল্ডবার্গ একটি সিগন্যাল গ্রুপ চ্যাটে যুক্ত হন, যেখানে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা ইয়েমেনে আসন্ন সামরিক হামলার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছিলেন। ওই গ্রুপের নাম ছিল ‘হুথি পিসি স্মল গ্রুপ’।

গ্রুপটিতে যুক্ত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড। সেখানে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলার বিস্তারিত পরিকল্পনা, লক্ষ্যবস্তু, অস্ত্রের ধরন এবং আক্রমণের সময়সীমা নিয়ে আলোচনা চলছিল।
কীভাবে ফাঁস হলো তথ্য?
জেফরি গোল্ডবার্গ জানান, তিনি ১১ মার্চ ওই গ্রুপে যুক্ত হন এবং দুই দিন পর সেখানে বিস্তারিত সামরিক পরিকল্পনার বার্তা পান। প্রথমে তিনি সন্দেহ করলেও, পরিকল্পিত হামলাগুলো বাস্তবে ঘটে যাওয়ায় তিনি নিশ্চিত হন যে তথ্যগুলো আসল।

এই ঘটনার পর জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (NSC) নিশ্চিত করেছে যে ভুলবশত এই বার্তাগুলো গোল্ডবার্গের কাছে পৌঁছে গেছে এবং তারা বিষয়টি তদন্ত করছে। এনএসসি’র মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজ বলেছেন, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া
এই বিতর্কের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেকে এ ঘটনা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না,” এবং দ্য আটলান্টিক সম্পর্কে কটাক্ষ করে বলেন, “ওটা কোনো কাজের ম্যাগাজিন নয়।”
অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ দাবি করেছেন, “কেউ কোনো যুদ্ধ পরিকল্পনা টেক্সট করেনি।” তবে ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক প্রভাব ও নিরাপত্তা ঝুঁকি
এই কেলেঙ্কারির কারণে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের পদ হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অত্যন্ত সংবেদনশীল সামরিক তথ্য অরক্ষিত চ্যাট অ্যাপে শেয়ার করাটা গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘন।
এই ঘটনার ফলে মার্কিন প্রশাসনের সামরিক পরিকল্পনা পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে এবং জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।