30 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

পিতার মৃত্যুশোকে স্ত্রীকে বয়কট করলেন হিরো আলম

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
বিনোদন ডেস্ক

দেশের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম, যিনি হিরো আলম নামে পরিচিত, তার পালক পিতা আবদুর রাজ্জাক মৃত্যুবরণ করেছেন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৯টায় ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি হিরো আলম নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে জীবনের শেষ সময়ে পালক পিতার পাশে না থাকার কারণে স্ত্রী ও মডেল রিয়ামণিকে জীবন থেকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন হিরো আলম। যদিও রিয়ামণি সম্পর্কে গণমাধ্যমের সামনে সরাসরি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।

তবে হিরো আলম তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “রিয়ামণিকে আমি জীবন থেকে বয়কট করলাম। কারণ, আমার বাবা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অথচ সে আমার বাবার কাছে না গিয়ে বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে নাচ-গানে ব্যস্ত ছিল। তার পরিবারের কেউ কখনো আমার বাবাকে দেখতে আসেনি। আমার বাবা বেঁচে থাকতেই কেউ দেখতে এল না—তাহলে আমি অসুস্থ হলে তারা কী করবে?”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “রিয়ামণি ঢাকার বিভিন্ন বারে নৃত্য পরিবেশন করে। আমি তাকে সেখান থেকে সরিয়ে ভালো পথে আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, ছেড়ে দেওয়া গরুকে তো আর ঘরে আটকে রাখা যায় না। খুব শিগগিরই আপনারা বুঝবেন রিয়া আসলে কেমন।”

হিরো আলমের এমন মন্তব্যের পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রিয়ামণি। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “উনি মানসিকভাবে ঠিক নেই। যেহেতু উনার বাবা মারা গেছেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।”

একই দিন দুপুরে রিয়ামণি নিজের ফেসবুকেও একটি স্ট্যাটাস দেন, যেখানে তিনি লেখেন, “আমরা যেহেতু বিনোদনের মানুষ, দেশের মানুষ আমাদের কাছ থেকে শুধু বিনোদনই চায়। তাই ব্যক্তিগত বিষয় মিডিয়ায় আনতে চাইনি। কিন্তু আলম যেভাবে বাড়াবাড়ি শুরু করেছেন, তাতে আর চুপ থাকা যাচ্ছে না।”

উল্লেখ্য, একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে রিয়ামণির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান হিরো আলম। এই সম্পর্কের জেরে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহান তাকে ডিভোর্স দেন। পরবর্তীতে রিয়ামণিকে বিয়ে করেন হিরো আলম, এবং দুজনে একসঙ্গে বেশ কিছু কাজেও অংশ নেন।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

বাংলাদেশ থেকে আরও নারী শান্তিরক্ষী নিয়োগে জাতিসংঘকে আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নিউজ ডেস্ক জাতিসংঘকে বাংলাদেশ থেকে আরও নারী শান্তিরক্ষী নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে তিনি...