27 C
Dhaka
বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫

রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১২ বছর পার হলেও থমকে আছে বিচার প্রক্রিয়া

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
নিউজ ডেস্ক

২০১৩ সালের এই দিনে, সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ওই ভবনের নিচে চাপা পড়েছিলেন প্রায় পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, আর ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় ২ হাজার ৪৩৮ জনকে।

বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলা ওই মর্মান্তিক ঘটনায় সেদিনই সাভার থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয় ভবনটির মালিক সোহেল রানা ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। একটি ছিল অবহেলাজনিত হত্যা মামলা, অন্যটি ছিল ভবন নির্মাণে ত্রুটির অভিযোগে ইমারত নির্মাণ আইনে মামলা।

তবে এক দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি বিচার। রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, সাক্ষ্য গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতায় আটকে আছে মামলার কার্যক্রম। সাক্ষীরা নিয়মিত আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচার এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

আদালত সূত্র জানায়, অবহেলাজনিত হত্যা মামলাটি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলায় ৫৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৯৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সর্বশেষ ১৫ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারিত থাকলেও সাক্ষীর অনুপস্থিতির কারণে পরবর্তী তারিখ দেওয়া হয়েছে ১৯ মে।

অপরদিকে, ভবন নির্মাণে ত্রুটির অভিযোগে করা মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে। বিচার বিলম্বে হতাশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, “ভিক্টিমরাই আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসছেন না। এমনকি তদন্ত কর্মকর্তারাও সাক্ষ্য দেননি। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিচার শেষ হয়নি।”

এমন দীর্ঘসূত্রতায় হতাশ ভিক্টিমরাও। রানা প্লাজার একটি পোশাক কারখানায় সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন কবির মোল্লা। তিনি বলেন, “চার দিন ধ্বংসস্তূপে মৃত্যুর সঙ্গে লড়েছি। এখনো চিকিৎসা নিচ্ছি, কিন্তু এখনো ন্যায়ের মুখ দেখিনি। ক্ষতিপূরণও পাইনি।”

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

শেখ হাসিনা ফিরে এলে জনগনই ব্যবস্থা নিবে- বিএনপি মহাসচিব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ফ্যাসিবাদী চরিত্র নিয়ে শেখ হাসিনা আবারো ফিরে...