Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজ ২৬ এপ্রিল, পহেলগাম হামলার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান “নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ” তদন্তের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সেই সঙ্গে জোর দিয়ে বলেছেন যে তাঁর প্রিয় পাকিস্তান যে কোনও পরিণতির জন্য প্রস্তুত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখানে দুর্ঘটনা বলতে শাহবাজ শরিফ যুদ্ধের কথাই বলতে চেয়েছেন।
এই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই পর্যটক। ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে এই হামলাকে ২০০০ সালের পরের সবচেয়ে ভয়াবহ সশস্ত্র আক্রমণ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
শেহবাজ শরিফ বলেন, “পাকিস্তান একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে এই ধরণের দোষারোপের খেলা বন্ধ করতে চায়।” তিনি আরও বলেন, “আমরা নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে অংশ নিতে প্রস্তুত।” তিনি ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, তারা “প্রমাণ বা নির্ভরযোগ্য তদন্ত ছাড়া ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে”।
পাকিস্তান সরকার এই হামলার পর ভারতীয় নদী চুক্তি (IWT) একতরফাভাবে স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তানও ভারতীয় ফ্লাইটের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে, তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শেহবাজ শরিফ আরও বলেন, “কাশ্মীর পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেমন জাতির পিতা কায়েদ-ই-আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেছিলেন, কাশ্মীর পাকিস্তানের গলার শিরা।” তিনি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা এবং কাশ্মিরি জনগণের আত্মনির্ধারণের অধিকারের প্রতি পাকিস্তানের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
এই বক্তব্যের মাধ্যমে পাকিস্তান তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে যে, তারা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে এই হামলার প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে চায়।
পহেলগাঁও হামলার পর ভারত পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। ভারতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। সার্ক ভিসা প্রদান বন্ধ হয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানি কূটনীতিকদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়ে আটারি সীমান্ত। পিছিয়ে নেই পাকিস্তানও। তারাও সিমলা চুক্তি বাতিলের হুঙ্কার দিয়েছে। ভারতীয় নাগরিক, কুত্রনীতিবিদদের ভারতে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওয়াঘা বর্ডার। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। ২৬/১১-এর মূল পরিকল্পনাকারী এবং লস্কর প্রধান হাফিজ সাঈদ এই হামলার মূল হ্যান্ডলার ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।