Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তির্জাতিক ডেস্ক :
ইরানের বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর, বন্দর আব্বাসে শক্তিশালী এক বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবারের এ ঘটনায় ১,২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের পর সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ড পুরোপুরি নেভানোর জন্য দমকল কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিস্ফোরণটি ইরানের বৃহত্তম কন্টেইনার বন্দর, শহীদ রাজী অংশে ঘটেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, এর ধাক্কায় আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকার জানালাগুলো ভেঙে পড়েছে, এবং শিপিং কন্টেইনারগুলোর ধাতব ফিতা ছিঁড়ে ভেতরের মালামাল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিস্ফোরণের ঘটনা ওমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় দফা পারমাণবিক আলোচনার সময় ঘটেছে।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাতেও আগুন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ছিল এবং দমকল কর্মীরা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত করা যায়নি, তবে বন্দরে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে বিস্ফোরণটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এটি নিয়ে কিছু তথ্য উঠে এসেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে, ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহৃত কঠিন জ্বালানির ভুল ব্যবস্থাপনা এই বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে, তবে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই ধারণাকে অস্বীকার করেছে। মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে বলেছেন, এসব প্রতিবেদন ‘শত্রুর মনস্তাত্ত্বিক অভিযানের’ অংশ এবং যে অংশে বিস্ফোরণটি ঘটেছে সেখানে কোনো সামরিক পণ্য ছিল না।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান অ্যামব্রের বরাতে বলা হয়েছে, মার্চে শহীদ রাজী বন্দরে সোডিয়াম পারক্লোরেট এসেছে। এটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র চালাতে ব্যবহৃত একটি উপাদান, এবং তার ভুল ব্যবস্থাপনা হয়তো এই বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।
ফিনান্সিয়াল টাইমস-এর জানুয়ারির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, চীন থেকে ইরানে আনা এই উপাদান দিয়ে ২৬০টির মতো মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চালানো সম্ভব। এটি ইসরায়েলে ২০২৪ সালে ইরানের সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার স্টক পূর্ণ করতে সহায়ক হবে।