28 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫

শান্তির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দ্বারপ্রান্তে ভারত-পাকিস্তান

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উপমহাদেশের দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র—ভারত ও পাকিস্তান। এই হামলার প্রেক্ষিতে ভারতের পাল্টা প্রতিক্রিয়া এবং পাকিস্তানের শিমলা চুক্তি বাতিলের হুমকি—উভয়ের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

২২ এপ্রিল, ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মিরের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা পেহেলগামে এক ভয়াবহ হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২৬ জন। এই মর্মান্তিক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নয়াদিল্লি একের পর এক কড়াকড়ি আরোপ করে। ভারতের পক্ষ থেকে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, সীমান্ত বন্ধ, বাণিজ্য ও ভিসা সেবা বন্ধ এবং পাকিস্তানি কূটনীতিকদের সংখ্যা কমানোর ঘোষণা আসে।

জবাবে পাকিস্তানও নেয় পাল্টা ব্যবস্থা। বাণিজ্য ও আকাশসীমা বন্ধের পাশাপাশি ইসলামাবাদ হুঁশিয়ারি দেয়—তারা ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি বাতিলের চিন্তাভাবনা করছে, যা দুই দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের অন্যতম ভিত্তি হিসেবে এতদিন কাজ করেছে।

শিমলা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টোর মধ্যে। এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ সীমান্ত ও কাশ্মির সংকট শান্তিপূর্ণ ও দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয়।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান যদি এই চুক্তি থেকে সরে আসে, তাহলে কূটনৈতিকভাবে কাশ্মির ইস্যুকে আবারও আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলতে পারবে। তবে ভারতের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অজয় শুক্লা মনে করেন, চুক্তি বাতিলের অর্থ হবে নিয়ন্ত্রণ রেখায় নতুন করে উত্তেজনা—যার ফল হতে পারে সীমান্তে সশস্ত্র সংঘাত।

অন্যদিকে, ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তকে পাকিস্তান দেখছে ‘জল অস্ত্র’-এর ব্যবহার হিসেবে। কারণ ইন্দুস, ঝিলম ও চেনাব নদীর পানি প্রায় ২৫ কোটি পাকিস্তানির জীবন-জীবিকার সঙ্গে জড়িত।

এ অবস্থায় উপমহাদেশের দুই শত্রু-প্রতিবেশী ফের মুখোমুখি সংঘাতের

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

শেখ হাসিনা ফিরে এলে জনগনই ব্যবস্থা নিবে- বিএনপি মহাসচিব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ফ্যাসিবাদী চরিত্র নিয়ে শেখ হাসিনা আবারো ফিরে...