25 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই ইমরান খানের মুক্তির দাবী

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে এবং এই উত্তেজনা সামরিক সংঘাতে রূপ নেয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিটি জোরালো হয়েছে। তার সমর্থকরা বিশ্বাস করেন, ইমরান খানের নেতৃত্বে পুরো দেশ একত্রিত হয়ে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম।

হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে দিয়ে ইন্দাস পানি চুক্তি স্থগিত করার মতো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের পর পাকিস্তান সংসদ সোমবার জরুরি সিনেট অধিবেশন ডাকে। অধিবেশনে উভয় পক্ষের আইনপ্রণেতারা ভারতের তীব্র সমালোচনা করেন এবং ইমরান খানের মুক্তির দাবিও তোলা হয়।

সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এমপিরা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন এবং তা অর্জন করতে ইমরান খানের মুক্তি জরুরি। তারা একটি জাতীয় অধিবেশন ডাকতে এবং ইমরান খানকে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে দাবি করেন।

পিটিআইয়ের পার্লামেন্টারি নেতা সিনেটর আলী জাফর বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা সুরক্ষায় একসঙ্গে দাঁড়ানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও বলেন, ইমরান খানের উপস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে যে পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ।

পিটিআই সিনেটর শিবলি ফারাজ বলেন, “ইমরান খানকে টেলিভিশনে আসার সুযোগ দিন, যাতে তিনি জনসভা করতে পারেন এবং সীমান্তের দিকে পদযাত্রা ডাকতে পারেন। আমি নিশ্চিত, তার ডাকে এক কোটি মানুষ সাড়া দেবে।”

পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো কাশ্মীরের সন্ত্রাসী হামলাকে ভারতের “পরিকল্পিত ও সাজানো ম্যাসাকার” হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সিনেটর ইরফানুল হক সিদ্দিকী বলেন, “কাশ্মীরের পেহেলগামে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরাটোপে থাকা অবস্থায় এ ধরনের হামলা কিভাবে সম্ভব? এটি স্পষ্টভাবে সাজানো ঘটনা।”

এছাড়া, সিনেট অধিবেশনে ভারতের পানি চুক্তি স্থগিতের বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা দেখা যায়। সিনেটর সিদ্দিকী দাবি করেন, “ভারত একতরফাভাবে এই চুক্তি বাতিল করতে পারে না, কারণ এতে বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সম্পৃক্ত রয়েছে।”

পিটিআই নেতা আলী জাফর বলেন, “চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এটি যুদ্ধের সমান।” পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো একমত যে, ভারত পরিস্থিতি উত্তেজনাকর করে তুলছে এবং এর মাধ্যমে কাশ্মীরের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে চেষ্টা করছে। তবে, রাজনৈতিক বিভাজন সত্ত্বেও পাকিস্তানে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে বেশিরভাগ দলই একত্রিত হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইমরান খানের মুক্তির দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত কি না, সে বিষয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে, তার মুক্তি পাকিস্তানে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে, পাশাপাশি এটি পিটিআইর জনসমর্থনের প্রকৃত মানদণ্ডও হতে পারে।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

শেখ হাসিনা ফিরে এলে জনগনই ব্যবস্থা নিবে- বিএনপি মহাসচিব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ফ্যাসিবাদী চরিত্র নিয়ে শেখ হাসিনা আবারো ফিরে...