Your Ads Here 100x100 |
---|
অপরাধের ধরন পাল্টে যাওয়ায় নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রযুক্তিনির্ভর ও জটিল অপরাধ মোকাবিলায় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) চেয়েছে একটি স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট। পুলিশের অন্যান্য ইউনিটগুলোর মতো র্যাবও পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে তাদের কর্মপরিকল্পনায় এই দাবি তোলে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে হাইওয়ে পুলিশ, সিআইডি, র্যাব, পিবিআই, নৌ পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, এপিবিএন, শিল্প পুলিশ ও অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটসহ বিভিন্ন ইউনিট তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বর্তমান চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে।
র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভুক্তভোগীরা যেন দ্রুত সহায়তা পান, সে বিষয়ে র্যাব কাজ করছে। তিনি গুজব প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগের পাশাপাশি সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে একটি আলাদা সাইবার ইউনিটের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
মানবাধিকার ইস্যুতে সমালোচনার মুখে পড়া র্যাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও মানবাধিকার বজায় রেখে কাজ করছে র্যাব। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় তদন্ত সেল ও মানবাধিকার সেল গঠন করা হয়েছে।”
সিআইডির উপস্থাপনায় উঠে আসে সাম্প্রতিক আলোচিত মামলাগুলোতে তাদের ভূমিকা। ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি গাজী জসীম জানান, অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে গঠিত মামলার তদন্তে সিআইডি বিশেষ টিম গঠন করেছে। প্রভাবশালী ব্যক্তি ও গ্রুপের সম্পদ অনুসন্ধানে চলছে নিবিড় তদন্ত। এস আলম, বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, নাবিল, ইউনিক ও সিকদার গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্তে ইতোমধ্যে প্রায় ৫,৮০০ শতাংশ জমি এবং হাজার কোটি টাকার সম্পদ শনাক্ত করা হয়েছে। কক্সবাজারের একটি মামলায় জব্দ করা হয়েছে ১০ কোটি টাকার সম্পদ।
তবে সিআইডি তাদের কাঠামোগত দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতার কথাও তুলে ধরে। তাদের মতে, অধিকাংশ জেলায় নেই কোনো অপারেশনাল যানবাহন। সাইবার সেন্টার ও ফরেনসিক ল্যাবে রয়েছে সরঞ্জামের সংকট। বাজেট সীমাবদ্ধতা, সফটওয়্যার সংকট এবং নিয়মিত বদলির আতঙ্কে কর্মক্ষমতা ব্যাহত হচ্ছে।
হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে চুরি, ছিনতাই, দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে। তারা জানায়, সিসিটিভির মাধ্যমে ট্রাফিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, ডিজিটাল অটো ফাইন, ক্লোন নাম্বারপ্লেট শনাক্তকরণ এবং হাইস্পিড ডিটেকশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এর আগের দিন বিশেষ শাখা (এসবি) ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(২) ধারায় তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের ‘ডিটেনশনে’ নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তাদের মতে, এসব ব্যক্তিরা পেশাদার অপরাধী, যারা সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে। অনুমোদন পেলে তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।