Your Ads Here 100x100 |
---|
মিয়ানমারের সঙ্গে ‘মানবিক করিডোর’ ইস্যুতে রাজনৈতিক দল ও জনগণকে পাশ কাটিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “বিদেশিদের স্বার্থ নয়, সবার আগে দেশ। করিডোর ইস্যুতে সিদ্ধান্ত আসতে হবে জাতীয় সংসদ থেকে।”
বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আয়োজিত মে দিবসের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মে দিবস দিচ্ছে ডাক, বৈষম্য নিপাত যাক’ স্লোগানে আয়োজিত এই সমাবেশে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ছিল আলোচনার কেন্দ্রে।
তারেক রহমান বলেন, “রাজনৈতিক দল এবং জনগণকে পাশ কাটিয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না। ক্ষমতার লোভ যেন কাউকে স্বৈরাচারের পথে ঠেলে না দেয়, সেজন্য অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি মানুষের অধিকার ও সম্মান ফিরিয়ে আনার জন্য রাজনীতি করে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই পারে শ্রমিকসহ দেশের সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে।“
এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশের অস্তিত্ব গণতন্ত্রের ওপর নির্ভর করে। রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশ কাটিয়ে কোনো চুক্তি করা হলে তা দেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে।” তিনি অবিলম্বে সরকারকে নির্বাচন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “সরকার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু শ্রমিকের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করাই এখন বিএনপির মূল লক্ষ্য।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন। সঞ্চালনায় ছিলেন দলের প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কাজী ছায়েদুল আলম বাবুল, কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, আফরোজা আব্বাস, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, এসএম জিলানী, সুমন ভূঁইয়া, বদরুল আলম সবুজ ও কামরুল জামান প্রমুখ।
নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে এই শ্রমিক সমাবেশ ছড়িয়ে পড়ে কাকরাইল, শান্তিনগর ও ফকিরাপুলসহ আশপাশের এলাকায়। পুরো আয়োজন জুড়ে ছিল আগামী নির্বাচন ও শ্রমিক অধিকার নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক বক্তব্য।