Your Ads Here 100x100 |
---|
নিউজ ডেস্ক :
মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ এবং রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপত্তা ও নাগরিকত্বের নিশ্চয়তার অভাবে তাদের প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা বর্তমান সময়ে অনেকটাই ক্ষীণ, মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, “দীর্ঘস্থায়ী এই সংকটের কোনো কার্যকর সমাধান এখনো পাওয়া যায়নি।”
আজ রোববার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: আঞ্চলিক নিরাপত্তায় কৌশলগত প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পথ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। এই সেমিনারটি বিইউপি এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
তৌহিদ হোসেন বলেন, “রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান কখনোই শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি, বরং অধিকাংশ সময় সংঘাতের মধ্য দিয়েই হয়েছে, আর ইতিহাস তাই প্রমাণ করে।” তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং আফ্রিকার বিভিন্ন স্বাধীনতা যুদ্ধের উদাহরণ দেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের পর বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দফার ঢল নেমেছিল। এর আগে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা বিভিন্ন সময়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল।
দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়াকে ‘বৃথা’ আখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়নি।” তিনি বলেন, “কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ছাড়তে পারি না, কিন্তু একমাত্র দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সফল হবে এমন আশা আর রাখতে পারি না।”
তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “যে কোনো প্রত্যাবাসন অবশ্যই স্বেচ্ছায় হতে হবে এবং সেখানে নিরাপত্তা ও পূর্ণ নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। রোহিঙ্গারা এমন কোনো জায়গায় ফিরে যেতে পারবে না যেখানে তাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং তাদের মৌলিক অধিকার অস্বীকার করা হয়।”
মিয়ানমারের প্রধান অংশীজন হিসেবে সামরিক জান্তা, আরাকান আর্মি এবং ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)-কে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, “যে কোনো স্থায়ী সমাধানে অবশ্যই এই তিনটি পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, বিশেষ করে আরাকান আর্মিকে, যারা বর্তমানে রাখাইন রাজ্যের একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।”