Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) সকাল ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর ও তদন্ত কর্মকর্তারা।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার নির্দেশে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালিয়ে নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
প্রসিকিউশন সূত্রে জানা যায়, তদন্তে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সরাসরি নির্দেশনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ রয়েছে গোপন মিটিং, ফোনালাপ, এবং মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের দলিল যা এই অভিযোগকে সমর্থন করে।
চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে জানান, “সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিলের মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
এছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনী পরিচালনায় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও নাগরিক অধিকার সংগঠন।
চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। পরে বাড়িয়ে ১২ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।
চিফ প্রসিকিউটর জানান, মঙ্গলবার (১৩ মে) গণমাধ্যমে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরা হবে এবং আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।