Your Ads Here 100x100 |
---|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যৌথভাবে আন্দোলনে নেমেছেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে কাকরাইলে চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এ ঘোষণা দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন।
তিনি বলেন,“জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা রাস্তায় নেমেছি। আমাদের ওপর যেভাবে পুলিশ হামলা চালিয়েছে, তা সম্পূর্ণ অন্যায়। আমরা ঘরে ফিরবো না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের যৌক্তিক দাবি পূরণ না হয়। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।”
অধ্যাপক রইস উদ্দিন আরও বলেন,“আমাদের আন্দোলন দমিয়ে রাখার জন্য যদি কোনো অপচেষ্টা করা হয়, তার পরিণাম ভালো হবে না। আমি চোখের সামনে আমার কোনো শিক্ষার্থীকে আঘাত পেতে দেব না।”
বুধবার (১৫ মে) সকাল ১১টায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশ্যে লং মার্চ শুরু করেন। গুলিস্তান ও মৎস্য ভবন অতিক্রম করে কাকরাইল এলাকায় পৌঁছালে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। পুলিশ টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরে লাঠিচার্জ চালানো হয়, যাতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকসহ শতাধিক মানুষ আহত হন।
রাতেই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গেলে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে তার বক্তব্যে বাধা দেন। একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে একজন শিক্ষার্থী বোতল ছুঁড়ে মারেন, ফলে তিনি বক্তব্য শেষ না করেই স্থান ত্যাগ করেন।
“এদিকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বক্তব্যে অসন্তুষ্ট হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা এখনো কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান করছেন।