26 C
Dhaka
বুধবার, মে ২১, ২০২৫

অনুমোদন নেই, তবু মাদক মামলার তদন্তে প্রসিকিউটররা!

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

নেই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা। আইনগতভাবে তদন্ত কর্মকর্তাও নন। সেই সঙ্গে নেই অনুমোদনও। তবু মাদক মামলার তদন্ত করছেন মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কয়েকজন প্রসিকিউটর।

এ বিষয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালকের (ডিজি) একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার না থাকলেও তার সিদ্ধান্তেই মামলার তদন্ত শুরু করেছেন কর্মকর্তারা। এতে করে মামলার তদন্তে নিরপেক্ষতা ও আইনি কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মনে করছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। সূত্র বলছে, যেসব কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শুরু করেছেন, তারা আইনগতভাবে তদন্ত কর্মকর্তা নন এবং তাদের কার্যবিবরণীতেও এ ধরনের দায়িত্ব পালনের অনুমোদন নেই। এ ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার ডিজির নেই।তবু তার একক সিদ্ধান্তে মামলার সংস্থাটির কয়েকজন কর্মকর্তা মাদক মামলার তদন্ত করছেন। ফলে নিরপেক্ষতা ও আইনি কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। সেই সঙ্গে তদন্ত ও প্রসিকিউশন—এই দুই দায়িত্বে এক ব্যক্তি থাকলে সেটি সংঘাতপূর্ণ ও আইনবহির্ভূত।

এদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর ৬৪ ধারায় ডিজির ক্ষমতা অর্পণের আদেশ অনুযায়ী উপপরিদর্শক ও তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই কেবল অপারেশনাল কাজে নিয়োজিত থাকতে পারেন।

সে অনুযায়ী, মহাপরিচালকের পক্ষে সরকারের প্রজ্ঞাপন ব্যতীত প্রসিকিউটরদের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।

এ ছাড়া ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮’-এর ৩০ ধারার উপধারা (২) অনুযায়ী অপরাধ তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তালিকায় প্রসিকিউটরদের নাম নেই। সেখানে শুধু অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, পরিদর্শক ও উপপরিদর্শকদের তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমার সই করা একটি অফিস আদেশে বলা হয়, ২০ এপ্রিল ২০২৫ সালের সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, অধিদপ্তরের অধীন কর্মরত প্রতিটি প্রসিকিউটর ও সহকারী প্রসিকিউটরকে অন্তত একটি করে মাদক মামলার তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। সেই অনুযায়ী অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় থেকে অধীনস্থ সব মেট্রো ও জেলা অফিসগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের ডিজি।

অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৯ সালেই প্রসিকিউশন বিভাগ চালু হয়। বর্তমানে দেশে দশম গ্রেডে ৬৮ জন প্রসিকিউটর এবং একাদশ গ্রেডে ১০৪টি অনুমোদিত পদে সহকারী প্রসিকিউটর রয়েছেন। অনেক পদ পূর্ণ না হলেও বর্তমানে শতাধিক কর্মকর্তা কাজ করছেন। কার্যবিবরণী অনুযায়ী, আদালতে মামলা পরিচালনা, সমন জারি, জামিন বিরোধিতা ও রায়ের পর আপিল কার্যক্রমে সহায়তা করা তাদের মূল দায়িত্ব। মামলার তদন্ত করা তাদের দায়িত্ব নয়।

এ বিষয়ে একাধিবার চেষ্টা করেও ডিজি মো. হাসান মারুফের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘প্রসিকিউটর যদি মামলার তদন্ত করেন, তাহলে সেটা কোনো তদন্তই হবে না। প্রথমত, তাদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই, ফলে ভুল হবে। দ্বিতীয়ত, প্রসিকিউটরের কাজের সঙ্গে তদন্তের বিষয় সাংঘর্ষিক। তাই যদি এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে, তা মোটেও যুক্তিসংগত হয়নি।’

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

আসিফ ও মাহফুজের পদত্যাগ চাই : ইশরাক

  খবরের দেশ ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার পদত্যাগ...