Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্ক :
সিরিয়ার ওপর থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরপরই মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় (ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট) শুক্রবার সিরিয়ার জন্য একটি সাধারণ লাইসেন্স জারি করেছে, যা তাৎক্ষণিক নিষেধাজ্ঞা শিথিলের অনুমতি দেয়।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সিরিয়াকে এখন শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল দেশ হয়ে উঠার জন্য কাজ চালিয়ে যেতে হবে। আজকের পদক্ষেপ দেশটিকে একটি উজ্জ্বল, সমৃদ্ধ এবং স্থিতিশীল ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে বলে আমরা আশাবাদী।
’ শনিবার সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে মার্কিন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এটিকে ‘দেশের মানবিক ও অর্থনৈতিক দুর্ভোগ লাঘবের পথে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
এর আগে এ মাসের শুরুতে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ সফরের সময় ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অনুরোধে তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন। এর একদিন পরই ট্রাম্প সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন—২০০০ সালের পর এই প্রথম কোনো মার্কিন ও সিরিয়ান শীর্ষ নেতার মধ্যে বৈঠক হলো। ট্রাম্প আল-শারাকে ‘একজন তরুণ, আকর্ষণীয় নেতা’ এবং ‘মজবুত অতীতের অধিকারী’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা শিথিলকরণ রাশিয়া, ইরান বা উত্তর কোরিয়াকে কোনোভাবে উপকৃত করবে না। বরং এটি সিরিয়ার অর্থনীতি, আর্থিক খাত এবং অবকাঠামো পুনর্গঠনে সহায়ক হবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।
নতুন এই লাইসেন্সের মাধ্যমে সিরিয়ায় নতুন বিনিয়োগ ও বেসরকারি খাতের কার্যক্রম শুরু করার সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ কৌশলের অংশ। পাশাপাশি, সিজার আইন অনুযায়ী স্টেট ডিপার্টমেন্টও একটি ছাড়পত্র দেবে, যা বিদেশি মিত্র ও আঞ্চলিক অংশীদারদের জন্য সিরিয়ার সম্ভাবনাকে আরো উন্মুক্ত করবে।