Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, দেশটির আকাশ শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন বা যুদ্ধবিমান থেকে রক্ষা করতে মহাকাশভিত্তিক এক দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে— যার নাম ‘গোল্ডেন ডোম’। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। তবে পূর্ণ কার্যক্রম শুরু হতে সময় লাগবে আরও চার বছর— ২০২৯ সালের আগে চালু হচ্ছে না এই ব্যবস্থা।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ‘গোল্ডেন ডোম’ চালু হলে এটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহনির্ভর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এতে থাকবে উন্নত ইনফ্রারেড লেজার প্রযুক্তি, যা হাইপারসনিক, ব্যালেস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশে ধ্বংস করতে পারবে।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর হাতে থাকলেও ‘থাড’, ‘প্যাট্রিয়ট পিএসি-৩’ ও ‘এজিস বিএমডি’র মতো স্থলভিত্তিক সিস্টেমের চেয়ে ‘গোল্ডেন ডোম’ প্রযুক্তিতে হবে অনেক এগিয়ে। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এটি হবে ইসরাইলের ‘আয়রন ডোম’ ও রাশিয়ার ‘এস-৪০০’র চেয়েও শক্তিশালী।
‘গোল্ডেন ডোম’ যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড ছাড়াও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উত্তর কোরিয়া ও চীনের হুমকি মোকাবেলায় মোতায়েন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। শুরুতে প্রাথমিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে আড়াই হাজার কোটি ডলার।
বিশ্বে এই প্রথম এমন মহাকাশভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ঘোষণা আসায়, সামরিক ভারসাম্যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র রাশিয়া ও চীনও মহাকাশ প্রতিরক্ষায় নজর দিচ্ছে, তবে ‘গোল্ডেন ডোম’ যুক্তরাষ্ট্রকে এই প্রতিযোগিতায় একধাপ এগিয়ে দেবে, এমনটাই বিশ্বাস ট্রাম্প প্রশাসনের।