33 C
Dhaka
বুধবার, জুলাই ২, ২০২৫

চাকরিজীবীদের বিক্ষোভ-আন্দোলনে চ্যালেঞ্জের মুখে সরকার?

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

 

খবরের দেশ ডেস্কঃ

সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একের পর এক কর্মবিরতি ও বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। রাজস্ব বোর্ড, সচিবালয়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ স্তরে চলছে আন্দোলন। দাবি আদায়ে ‘কলম বিরতি’সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় স্বাভাবিক প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গত কয়েক দিনে অন্তত তিনটি বড় দাবিতে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাকফুটে গিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিতে হয়েছে।

গত ১২ মে ‘রাজস্ব নীতি ও প্রশাসন সংস্কার অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি হওয়ার পর রাজস্ব কর্মকর্তাদের তীব্র বিক্ষোভ দেখা দেয়। এরপর ২৫ মে অর্থ মন্ত্রণালয় সংশোধনের আশ্বাস দিলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন তারা।

সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও একইভাবে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার সময় নির্ধারিত হলে তারা এক দিনের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেন।

এছাড়া প্রশাসন ক্যাডারের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার ‘কলম বিরতি’ পালন করেন। বুধবারও এই কর্মসূচি চলবে বলে জানানো হয়েছে।

চাপের মুখে সরকার

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, চলমান বিক্ষোভ সরকারকে স্পষ্ট চাপের মুখে ফেলেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ছায়েদুর রহমান বলেন, “সরকার ও আমলাতন্ত্রের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব স্পষ্ট। আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে, যার পেছনে রাজনৈতিক সংস্কৃতিরও বড় ভূমিকা রয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমলারা বরাবরই নিরপেক্ষ থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশে তারা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হন। গত আগস্টে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর সেই সম্পর্কেও টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।”

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা?

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোববার বলেন, “বাংলাদেশ এখন এক ধরনের যুদ্ধাবস্থার মধ্যে রয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, বিক্ষোভের পেছনে ‘জুলাই অভ্যুত্থানে বিজয়ী ও পরাজিত শক্তি’ উভয়ের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।

“সংস্কারের বিরোধিতার পেছনে রাজনৈতিক দলের স্বার্থ জড়িত। কারণ সংস্কার হলে তাদের গোষ্ঠীগত সুবিধা কমে যাবে,” বলেন তিনি।

সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার শঙ্কা

গত আগস্টের পর থেকেই প্রশাসনে অস্থিরতা চলমান। পদোন্নতি ও পদায়নের দাবিতে সচিবালয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। সরকারের কিছু সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ক্রমেই বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অস্থিরতা চলতে থাকলে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংকট আরও তীব্র হতে পারে।

অধ্যাপক ছায়েদুর রহমান বলেন, “বারবার আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় হলে সেটি দীর্ঘমেয়াদে সরকারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।”

মহিউদ্দিন আহমেদও বলেন, “এক পক্ষ দেখছে আন্দোলন করলেই ফল পাওয়া যায়, তখন অন্য পক্ষও তাতে উৎসাহিত হয়।”

সরকারের অবস্থান

সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “সরকারি চাকরিজীবীদের কোনো দাবি থাকলে তা সচিবদের ছোট ছোট কমিটির মাধ্যমে তোলা যেতে পারে। আমরা আশা করি, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নিয়ম মেনেই চলবেন।”

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

কথা রাখলেন কনা

বিনোদন ডেস্ক : সপ্তাহ খানেক আগেই বিবাহবিচ্ছেদের খবর দিয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা। ওই বিবৃতিতে গায়িকা জানান, ব্যক্তিগত সংকট পেরিয়ে এখন...