31 C
Dhaka
শনিবার, জুলাই ৫, ২০২৫

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যতিক্রমী অ্যাসাইনমেন্ট

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

জাককানইবি প্রতিনিধি:

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে এবার অ্যাসাইনমেন্ট মানেই একটি গাছ লাগানো। আর তাতেই মিলবে পাঁচ নম্বর। শুধু কথার কথা নয়, শিক্ষার্থীরা গায়ে মাটি মেখে নেমে পড়েছেন ক্যাম্পাসের নানা প্রান্তে।

বুধবার (২৮ মে) দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক মো. তারিকুল ইসলামের উদ্যোগে এই বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু হয়। পরিবেশ সচেতনতা ও বাস্তব জীবনের সঙ্গে পাঠের সংযোগ ঘটাতেই এ উদ্যোগ, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

শিক্ষার্থীদের জন্য এ যেন এক নতুন অভিজ্ঞতা। আগে যেসব অ্যাসাইনমেন্ট থাকত খাতা-কলমে, এখন তার জায়গা নিচ্ছে প্রকৃতির কোলে বাস্তব কাজ। ‘গাছ লাগাও, নম্বর পাও’—এই স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হলের সামনে, রাস্তার পাশে ও নির্ধারিত জায়গাগুলোতে শিক্ষার্থীরা লাগাচ্ছেন কৃষ্ণচূড়া, আম, কাঁঠালসহ নানা গাছ।

ক্যাম্পাসে কৃষ্ণচূড়া, আম, কাঁঠালের চারা লাগাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাসে কৃষ্ণচূড়া, আম, কাঁঠালের চারা লাগাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ বলছেন, “একদিন হয়তো আমাদের খাতা-কলমের এসাইনমেন্ট ভুলে যাব। কিন্তু এই গাছটা রয়ে যাবে আমাদের স্মৃতি হয়ে। সমাবর্তনের দিন প্রিয়জনকে বলব, এই গাছটা আমিই লাগিয়েছিলাম।”

এই প্রকল্পে শিক্ষক তারিকুল ইসলামও পাশে ছিলেন শিক্ষার্থীদের। তিনিও হাতে গ্লাভস পরে গাছ লাগিয়েছেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। তাঁর ভাষায়, “শুধু বইয়ের পড়া নয়, শিক্ষার্থীদের প্রকৃতির কাছেও নিতে হবে। সবুজ ক্যাম্পাস গড়তে হলে সবাইকে অংশ নিতে হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়টির যেটুকু একসময় ছিল অনুর্বর ও ফাঁকা, আজ তা সবুজে ছেয়ে যাচ্ছে। নতুন গাছে প্রথমবার ফল দেখে শিক্ষার্থীরা যেমন আনন্দিত, তেমনি গর্বিতও। কেউ কেউ বলছেন, “বৃষ্টির দিন মানেই এখন গাছ লাগানোর উৎসব।”

এমন ব্যতিক্রমধর্মী অ্যাসাইনমেন্টের ফলে শুধু নম্বর নয়, তৈরি হচ্ছে প্রকৃতির সঙ্গে এক গভীর সংযোগ—যা হয়তো থাকবে সারাজীবন।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

জোটার শেষ বিদায়ে লিভারপুলের সতীর্থদের চোখে জল

  স্পোর্টস ডেস্কঃ মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন দিয়োগো জোটা। সে সুখ স্মৃতি এখন শোকের ভারে ম্লান। গত বৃহস্পতিবার...