Your Ads Here 100x100 |
---|
নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঈশ্বরদীর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানের (ইপিজেড) শতাধিক শ্রমিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত তিন দিনে রোগীর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় পান করার ফলে এ সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ সামলাতে সমস্যা দেখা দেয়ায় সিভিল সার্জন, সেনাবাহিনী ও জেলা পুলিশের সহযোগিতায় জরুরি ভিত্তিতে ৪০০ পিস ইনজেকশন (আইভি স্যালাইন) পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা অতিরিক্ত ডিউটি করে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
রবিবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় হাসপাতাল পরিদর্শনকালে জানা যায়, ডায়রিয়া আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে ডেনিম ভিনটেজ (এ্যাবা), নাকানো ইন্টারন্যাশনাল বিডি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে ইপিজেড এলাকায় সরবরাহকৃত অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানি খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাদের মধ্যে বমি, পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানার উপসর্গ দেখা দেয়। প্রথম দিকে কয়েকজন হালকা অসুস্থতা অনুভব করায় ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেলেও রাতের দিকে আরও অধিকাংশ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১১৩ জন রোগীর চিকিৎসা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৯৪ জন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানান, খাবার ও পানিতে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সম্ভবত এই ডায়রিয়ার কারণ।
এ্যাবা কারখানার শ্রমিক সিয়াম রেজা বলেন, “আমি বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম, তবে কাজের ফাঁকে ইপিজেড এলাকার সরবরাহকৃত পানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।” নাকানো ইন্টারন্যাশনালের কর্মী অভিষেক কুমারও একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. খোরশেদ আলম রানা বলেন, “আমাদের হাসপাতালের ৫০ শয্যা ধারণক্ষমতার কারণে জায়গার সংকট রয়েছে, তবুও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে। ছুটি বাতিল করে অতিরিক্ত নার্স ও চিকিৎসক নিয়োজিত করা হয়েছে।”
অপরদিকে, লালপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুনজুর রহমান বলেন, “সিভিল সার্জন ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আমরা পর্যাপ্ত ওষুধ ও ইনজেকশন পাঠিয়েছি। এ পরিস্থিতিতে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।”
নাটোর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ মুক্তাদির আরেফীন জানান, “সেনাবাহিনী ও পুলিশ যেভাবে সহযোগিতা করছে, আমরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত।”