Your Ads Here 100x100 |
---|
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাজেট বরাদ্দের সুপারিশ করা হলেও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪১ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের (২০২৪-২৫) ৪১,৪০৭ কোটি টাকা বরাদ্দের তুলনায় ৫০১ কোটি টাকা বেশি।
জন-স্বাস্থ্যবিদরা মনে করছেন, প্রস্তাবিত বাজেট স্বাস্থ্য খাতের সমস্যা সমাধানে কাজে আসবে না।
সোমবার বিকেল ৩টায় জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এটি দেশের ৫৪তম বাজেট এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট। প্রতিবছর জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হলেও এবার সংসদ না থাকায় তা ঘোষণা করা হচ্ছে বেতার-টেলিভিশনের মাধ্যমে। এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা গত অর্থ বছরের তুলনায় সাত হাজার কোটি টাকা কম।
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জাতীয় বাজেটের ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে রাখার কথা বলে আসছে বহু বছর ধরে। স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনও এই সুপারিশ করেছে। তবে এবারের বাজেটে এই স্বাস্থ্য বাজেট আরও কমানো হয়েছে। এটার কারণ স্বাস্থ্যখাতে গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার।
স্বাস্থ্য খাত কমিশন বলছে, সেবা জনমুখী, সহজলভ্য ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এটা আমরা বার বার বলেও কোনো অগ্রগতি দেখছি না।