26.3 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুন ১৭, ২০২৫

সড়ক, ট্রেনে ভিড় থাকলেও লঞ্চে যাত্রী কম

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

স্বজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। লম্বা ছুটি থাকায় এবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কম। যথাসময়ে ছাড়ছে রেল ও সড়কপথের গণপরিবহন। এসব গণপরিবহনে যাত্রীর সংকট না দেখা গেলেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। লঞ্চে মানুষের ভিড় ছিল কম। আগাম টিকিটেও নেই প্রত্যাশিত সাড়া। অধিকাংশ কেবিনের টিকিটও বিক্রি হয়নি।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গতকাল সোমবার ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যথাসময়ে ছেড়ে গেছে ট্রেন। সকাল থেকেই যাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরাও। তারা বলছেন, এবার স্টেশনে প্রবেশপথে কয়েক দফা চেকিং হয়েছে। ফলে টিকিটবিহীন কেউ ঢুকতে পারছে না। এ ছাড়া সময়মতো ট্রেন ছাড়ায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে না, পোহাতে হচ্ছে না ভোগান্তিও।

 

এদিকে রাজধানীবাসীর ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাড়তি সতর্কতাসহ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। টিকিটবিহীন কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না রেলস্টেশনে। এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সাজেদুল ইসলাম বলেন, বিনা টিকিটের যাত্রী প্রতিরোধ এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে ব্যাপকভাবে চেকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। হকার ও ভবঘুরেদের স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে বিশেষ একটি টিম কাজ করছে।

এ ছাড়া বাস টার্মিনালগুলোতেও যাত্রীর চাপ কম। এতে করে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে রাজধানীবাসী। ঈদের দুই দিন আগে যাত্রীর চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন পরিবহনসংশ্লিষ্টরা। যাত্রীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার হননি তারা। বেশি ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে না।
ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। আগাম টিকিট বিক্রিতেও নেই প্রত্যাশিত সাড়া। লঞ্চগুলোর অন্তত ৭০ শতাংশ কেবিনের টিকিট বিক্রি হয়নি। সব মিলিয়ে টার্মিনালে যেন ঈদের ব্যস্ততা এখনও ধরা দেয়নি। সদরঘাট থেকে সবচেয়ে বেশি যাত্রী যায় বরিশাল রুটে। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সড়কপথে যাত্রা অনেক সহজ হয়েছে। ফলে নৌপথে যাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে।

ঈদের ১৫ দিন আগে থেকেই লঞ্চের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এবার বেশির ভাগ লঞ্চেই সেই চিরচেনা চিত্র অনুপস্থিত। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈরী আবহাওয়াই এর অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, ঈদ উপলক্ষে আজ থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস চালু হবে, যা চলবে ১০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু যাত্রী সেভাবে না থাকায় সংশ্লিষ্টরা উদ্বিগ্ন।

লঞ্চ মালিকরা জানিয়েছেন, ৩০ শতাংশ কেবিনের টিকিটও বিক্রি হয়নি। আগে এই সময় কেবিন পাওয়া যেত না। এবার লোকজন আসছেই না। পদ্মা সেতুর পর আমরা এখন ভাগ্যের ওপর নির্ভর করি। আবহাওয়া খারাপ, রাজনৈতিক পরিস্থিতিও ভালো নয়। এ জন্য অনেকে গ্রামে যেতে চাচ্ছেন না।
পারাবত লঞ্চের মালিক মোহাম্মদ হাবিব বলেন, সাধারণত ঈদের আগের দু’দিন যাত্রীর চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। গার্মেন্ট ছুটি শুরু হলে শেষ মুহূর্তে কিছু যাত্রী বাড়তে পারে।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

ইসরায়েলি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক বিদেশে কীভাবে কাজ করে?

বিভিন্ন সময় বিদেশের মাটিতে টার্গেট করে চালানো বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নাম এসেছে। বিশেষ করে এসেছে তাদের গোয়েন্দা...