Your Ads Here 100x100 |
---|
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। মঙ্গলবার ভোর রাতে হালুয়াঘাটের সূর্যপুর সীমান্ত ও ধোবাউড়া উপজেলার মুন্সিপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর ৪টায় হালুয়াঘাটের গাজীরভিটা ইউনিয়নের সূর্যপুর বিওপির আওতায় সীমান্ত পিলার ১১২৮/৬ এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ১০ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের হালুয়াঘাট থানায় নিয়ে আসা হয়।
আটকরা হলেন- নড়াইল জেলার কালিয়া থানার কৃষ্ণপুর এলাকার ইদ্রিস মোল্লার স্ত্রী পারভীন আক্তার (৫৫), তার মেয়ে মরিয়ম (১৭), মাগুড়া জেলার শালিকা থানার ছানড়া এলাকার মৃত জাহিদ মণ্ডলের স্ত্রী রিনা আক্তার (৪৩), তার মেয়ে মোছা. ডলি খাতুন (১৫), সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার বেলকুচি গ্রামের মোকছেদ পরিমলের মেয়ে শান্তি বেগম (৩৫), তার স্বামী মিরাজ আলী ভারতীয় নাগরিক, তার মেয়ে আয়েশা খাতুন (১ বছর) নড়াইল জেলার বাঁশগ্রাম বগুড়া এলাকার রাজি মোল্লার স্ত্রী শাহনাজ মোল্লা (২৯), ফরিদুপুর জেলার নগরকান্দা থানার কোনাগ্রাম এলাকার মাসুদ মল্লিকের স্ত্রী রাজিয়া আক্তার (৩০), নড়াইল জেলার নড়াইল থানার গারিয়াপুর এলাকার হায়াতুর রহমানের স্ত্রী মোছা. লিপিয়ার বেগম (৩৯), যশোর জেলার দোয়াগাছিয়া গ্রামের হাসান আলীর স্ত্রী মোছা. সেলিনা খাতুন (৩০)।
অপর দিকে ধোবাউড়ার মুন্সিপাড়া এলাকা দিয়ে ১২ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। তাদের সবাই ভারতের গুজরাট প্রদেশের শায়ন এলাকায় বসবাস করতেন। তাদের কেউ জেলে, কেউ রাজমিস্ত্রি এবং মুদি দোকান পরিচালনা করে আসছিলেন ২০-২৫ বছর ধরে।
ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে আটকরা হলেন- নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বুইঁবাগ এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মো. জসর আলী (৫০)। তিনি ভারতের গুজরাট প্রদেশে জেলের কাজ করতেন। এছাড়া একই জেলার কালিয়া থানার কালিয়া মির্জাপুর এলাকার শিমুলের ছেলে রুবেল শেখ। তিনি গুজরাটে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। একই এলাকার মৃত লুতফর রহমানের ছেলে আবদুল্লাহ (২১), একই এলাকার শিমুল মোল্লার মেয়ে হাসিনা বেগম (৪৬)। এছাড়াও খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার মোল্লা ডাঙ্গা এলাকার মৃত মানিক মোল্লার ছেলে মরফু মোল্লা (৭০) এবং তার স্ত্রী মারুফা বেগম (৪৬), তার ছেলে আব্দুর রহিম মোল্লা (২১), এনায়েত মোল্লা (১৭), রহমতুল্লাসহ (২৪) আবদুর রহমান (১৯) তাদের দুই নাতনী গনি মোল্লার মেয়ে সুমাইয়া (১৩) এবং আবদুল্লাহ (৮)। তারা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বসবাস করে আসছিলেন।
ধোবাউড়ার মুন্সিপাড়া বিপিওর নায়েব সুবেদার খাইরুল ইসলাম তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো জানান, আমরা রাতে তাদের আটক করি। এখন উপজেলা প্রশাসনের কাছে নেওয়া হচ্ছে। তারা যে নির্দেশনা দেবে সেভাবে কাজ করবো। আটকরা ভারতের গুজরাট প্রদেশের শায়ন গ্রামে কাজ করতেন। কারো কারো আধার কার্ড ভারতীয় পুলিশ রেখে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান হারুণ জানান, আমরা এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। আসলে তারা প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় নাগরিক কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।