Your Ads Here 100x100 |
---|
ক্রিকেট ডেস্ক :
১৯৯৬ বিশ্বকাপ শুরুর আগে কজনই ভেবেছিল চ্যাম্পিয়ন হবে শ্রীলঙ্কা। ভাবা তো দূরের কথা তখন গৃহযুদ্ধে লিপ্ত শ্রীলঙ্কাকে কেউই গোনায় ধরেননি। সেই দলই পরে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়।
বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক মাঠের খেলোয়াড়রা হলেও নেপথ্যের নায়ক ছিলেন ডেভ হোয়াটমোর।
সেই কোচকেই আজ ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে মালয়েশিয়া ক্রিকেট বোর্ড (এমসিএ)। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে এমসিএ।
২০২৫-২৬ সালের জন্য একটি হাই পারফরম্যান্স রোডম্যাপ করেছে মালয়েশিয়া। নতুন এই পরিকল্পনায় খেলোয়াড়দের উন্নয়ন, আধুনিক প্রশিক্ষণ কাঠামো এবং পারফরম্যান্সের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সেই লক্ষ্যেই হেটমায়ারকে ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে এমসিএ তাদের বিবৃতিতে লিখেছে, ‘বেশ কটি পূর্ণ সদস্য দলের হয়ে দারুণ অবদান রাখা ডেভ হোয়াটমোর একজন অভিজ্ঞ ও সফল কোচ। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে যিনি শ্রীলঙ্কাকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। তার অভিজ্ঞতা মালয়েশিয়াকে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট কাঠামো গড়তে সহায়তা করবে। সঙ্গে নারীদের দল গঠনেও নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
হোয়াটমোরকে দায়িত্ব দেওয়ার দিনেই পুরুষ দলের কোচের নামও জানিয়েছে মালয়েশিয়া। পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটার বিলাল আসাদকে প্রধান কোচ করেছে। অন্যদিকে পুরুষ ইমার্জিং দলের প্রধান কোচ করেছে নিজ দেশের সাবেক বাঁহাতি ব্যাটার রাকেশ মাধভাননেক।
হেটমায়ারকে নিয়োগ দিয়ে যেন যথার্থ সিদ্ধান্তই নিয়েছে মালয়েশিয়া। শক্তি-সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকা দলগুলোকে বিশ্বমঞ্চে পরিচয় করে দেওয়াতে তার জুড়ি নেই।
এ ক্ষেত্রে জুতসই উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান কোচের অধীনেই বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের পরিচয় জানানো শুরু করে বাংলাদেশ। ২০০৩ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচ ছিলেন হেটমায়ার।
পরে পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ে, নেপাল ও সিঙ্গাপুরের জাতীয় দলের কোচও ছিলেন হেটমায়ার। তাকে কোচ করতে এক সময় ইংল্যান্ড-ভারতও যোগাযোগ করেছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দুই দলের সঙ্গে কাজ করা হয়নি তার। এ ছাড়া বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের দলের হয়ে কোচিং করানোর সুনাম তো রয়েছেই।