29.4 C
Dhaka
শুক্রবার, জুন ২০, ২০২৫

রাজশাহীতে প্রতারণার মাধ্যমে ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

রাজশাহী প্রতিনিধি:


রাজশাহীতে প্রতারণার মাধ্যমে ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় গ্রীন প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে রাজশাহীর আমলী বোয়ালিয়া থানা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাকিমা খাতুনের স্বামী প্রকৌশলী কাজীমুল হককে। মামলায় দু’জনকেই আসামি করা হয়েছে। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের অভিযোগে আইনগত নোটিশও পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন বাদী মোস্তাফিজুর রহমান।

মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দীর্ঘ সময় পার হলেও বকেয়া টাকা না পাওয়ায় তিনি ২৪ মে আদালতে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রাজশাহী নগরীর একটি সাততলা আবাসিক ভবন ‘গ্রীন মনোয়ারা প্যালেস’-এর তৃতীয় তলার (বি-২) ফ্ল্যাটটি ৭৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় কেনার চুক্তি করেন কাজীমুল হক ও মোস্তাকিমা খাতুন দম্পতি।

রেজিস্ট্রেশনের জন্য দিন নির্ধারিত হয় ২৬ জানুয়ারি। তবে দলিলে ফ্ল্যাটের মূল্য মাত্র ২৭ লাখ টাকা উল্লেখ করে তারা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দলিল তৈরি করান, যা ছিল প্রতারণার প্রথম ধাপ বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

বাদীর দাবি, অভিযুক্তরা তখন জানান—দলিলে যাই লেখা থাক, তারা বাকি টাকা পূর্ণ পরিশোধ করবেন। সে বিশ্বাসে ওই দিনই জমি ও ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়।

রেজিস্ট্রেশনের দিন নগদ ১৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ও বিকাশে ২৫ হাজার টাকা—মোট ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন তারা।

এ ছাড়া প্রধান আসামি কাজীমুল হক আরও ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার দুটি চেক প্রদান করেন এবং বাকী অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাবেন বলে জানান। কিন্তু এরপর আর কোনো অর্থ জমা হয়নি।

বাদী জানান, পরে ২ ফেব্রুয়ারি ও ২৮ মার্চ আরও ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হলেও এখনো ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। বাকি অর্থ চাইলে আসামিরা অস্বীকার করেন, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেন।

এই পরিস্থিতিতে তিনি আইনের আশ্রয় নেন।

এ বিষয়ে জানতে বুধবার বিকেলে প্রকৌশলী কাজীমুল হকের মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় শুনেই তিনি “ভুল নম্বর” বলে ফোন কেটে দেন। পরে কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাকিমা খাতুনের নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি, এক পর্যায়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “তারা শুধু প্রতারণাই করেনি, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে চাকরিবিধিও লঙ্ঘন করেছেন। টাকা চাইলে হত্যার হুমকিও দিচ্ছেন।”

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

কানাডায় নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী সৌম্যের মরদেহ দেশে ফিরেছে

  খবরের দেশ ডেস্কঃ কানাডায় মৃত্যুবরণ করা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রাক্তন শিক্ষার্থী শাশ্বত সৌম্যের মরদেহ দেশে ফিরেছে। শুক্রবার (২০ জুন)...