Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর থেকেই ভারতজুড়ে একের পর এক সন্দেহভাজন গুপ্তচরের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা, সিআরপিএফ জওয়ান মোতি রাম জাট, রাজস্থানের সরকারি কর্মী শকুর খানের পর এবার পাঞ্জাবের মোহালি থেকে গ্রেপ্তার হলেন আরেক ইউটিউবার জসবির সিং। পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, জ্যোতির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তারও।
এনআইএ ইতিমধ্যে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মহম্মদ মাসুদ আলম নামে এক ট্র্যাভেল এজেন্টকে। তার বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেন এবং সন্দেহজনক যোগাযোগের অভিযোগ উঠেছে। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, এই গ্রেপ্তারগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং বড় কোনো চক্রের অংশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতার এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, “চর থাকেন সব দেশেই। তবে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়লে তাদের তৎপরতা বাড়ে। সাধারণ মানুষের ভেতর থেকেও চর নিয়োগ হয়—অর্থ, ধর্ম বা মতাদর্শের লোভ দেখিয়ে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু সামরিক গোপন তথ্য নয়, রুটিন বা স্থানীয় পর্যায়ের তথ্যও কখনো কখনো যুদ্ধপরিস্থিতিতে হয়ে ওঠে মূল্যবান। সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল শান্তনু রায় বলেন, “সেনাবাহিনীতে গোপন তথ্যের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আছে। অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট লঙ্ঘন করলে শাস্তি হতে পারে কোর্ট মার্শাল পর্যন্ত।”
সবমিলিয়ে, সামরিক বাহিনীর সদস্য থেকে শুরু করে ইউটিউবার—চর সন্দেহে গ্রেপ্তারের এই ধারাবাহিকতা ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন চিন্তার উদ্রেক করছে।