Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান বিমান যুদ্ধ বুধবার প্রবেশ করল ষষ্ঠ দিনে। ভোরের প্রথম প্রহরে ইরান দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেল আবিবের দিকে। এর পাল্টা জবাবে ইসরায়েল ইরানের পূর্বাঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও তেহরানের কাছে খোজির ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় হামলা চালায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সংকটময় মুহূর্তে ইরানের প্রতি হুশিয়ারি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, “আমরা জানি তথাকথিত ‘সুপ্রিম লিডার’ কোথায় লুকিয়ে আছেন… আমরা এখনই তাঁকে হত্যা করব না। তবে ধৈর্যের সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে।” এরপরই তিনি লেখেন, “UNCONDITIONAL SURRENDER!”
এই মন্তব্যে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে ইসরায়েলের পাশে সামরিক সহায়তার বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির কয়েকজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইরানের সাইবার নিরাপত্তা বাহিনী কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এদিকে, ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা এখন ইরানের আকাশসীমার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং আগামী দিনে অভিযান আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোয় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্থির। দক্ষিণ পার্স গ্যাস ফিল্ডে হামলার প্রভাব পড়েছে কাতারেও।
বিশ্ব এখন চেয়ে আছে—এই সংঘাত কোথায় গিয়ে থামবে?