28 C
Dhaka
বুধবার, জুন ১৮, ২০২৫

ইরান-ইসরাইল উত্তেজনার কেন্দ্রে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

 

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক উত্তেজনার আলোচনায় সবচেয়ে বেশি যেই নামটি উঠে এসেছে, তিনি হচ্ছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দুজনেই তাকে সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক মঞ্চে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

খামেনি ১৯৩৯ সালে ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির শিষ্য হিসেবে খামেনি ইরানে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলেন। ১৯৮৯ সালে খোমেনি রুহুল্লাহর মৃত্যুর পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালে এক হামলায় তার ডান হাত স্থায়ীভাবে বিকল হয়ে যায়।

সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে তিনি ইরানের সরকার, বিচার বিভাগ, সামরিক বাহিনী, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ও কুদস ফোর্সের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখেন। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে তার অবস্থান কঠোর ও অবিচলিত।

খামেনি আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে ‘অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স’ নামে একাধিক মিত্র গোষ্ঠী গড়ে তুলেছেন, যা লেবানন থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত বিস্তৃত।

সাম্প্রতিক ইসরাইল-হামাস সংঘর্ষের পর ইসরাইলের বিমান হামলায় ইরানের সামরিক স্থাপনা ও নেতাদের ওপর আঘাত হানায় খামেনির ‘অজেয়’ ভাবমূর্তি ভেঙে পড়েছে। ট্রাম্পের মন্তব্য ‘সহজ লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে খামেনিকে চিহ্নিত করা কূটনৈতিক উত্তেজনার পাশাপাশি সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনার ইঙ্গিত বহন করে।

আন্তর্জাতিক মহলে এখন খামেনির নিরাপত্তা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন উঠছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

ঐকমত্যের টেবিলে হাত মেলাল বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি নেতারা

  খবরের দেশ ডেস্কঃ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে বিরল এক দৃশ্যের জন্ম দিলেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির...