Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কূটনৈতিক সমাধানের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করলেও, তার সাম্প্রতিক বক্তব্য ও পদক্ষেপে যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ইরানকে ‘অবশ্যই আত্মসমর্পণ’ করতে বলার পাশাপাশি, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ‘অসীম ধৈর্যের’ ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইরান যদি চুক্তি না করে, তাহলে এমন বোমাবর্ষণ হবে যা তারা আগে কখনো দেখেনি”। এছাড়া, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অবস্থান সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, “আমরা জানি তিনি কোথায় আছেন, তবে এখনই তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে না”।
এদিকে, ইসরাইলি হামলায় ইরানের নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষতি হয়েছে, তবে ফোরদো স্থাপনাটি অক্ষত রয়েছে। এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমরা ইরানে হামলায় জড়িত নই”। তবে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের কাছে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার জন্য সহায়তা চেয়েছেন।
মার্কিন কংগ্রেসের কিছু সদস্য, যেমন সিনেটর টিম কেইন, ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর আগে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সামরিক সমাধান কার্যকর নয় এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা উচিত।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে, ট্রাম্পের সামরিক হুমকি ও ইসরাইলের সঙ্গে সমন্বিত হামলার পরিকল্পনা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংঘাতের জন্ম দিতে পারে। তারা পরামর্শ দিয়েছেন, কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত এবং যুদ্ধের পথে না গিয়ে সমাধানের পথ খুঁজে বের করা উচিত।
এমন পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করা এবং যুদ্ধের ঝুঁকি কমানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।