28 C
Dhaka
বুধবার, জুন ১৮, ২০২৫

ইসরাইল কী চায়? ইরানকে ঠেকাতে যুদ্ধেই সবকিছুর সমাধান খুঁজছে তেলআবিব

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

 

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

গাজা, লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনের পর এবার ইরান— যুদ্ধবাজ তকমা পাওয়া ইসরাইল ১৩ জুন থেকে টানা ইরানে হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন একটাই: ইসরাইল আসলে কী অর্জন করতে চাইছে?

ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, এই হামলা ছিল ‘পূর্বাভাসভিত্তিক’, মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। তাদের দাবি, ইরান ‘পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে’ ছিল। যদিও এ দাবির পক্ষে ইসরাইল এখনো কোনো দৃশ্যমান প্রমাণ দেয়নি।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মূল্যায়নে বলা হয়েছে— ইরান এখনো পরমাণু অস্ত্র তৈরির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। ২০০৩ সালেই তারা সেই কর্মসূচি বন্ধ করেছে বলে মনে করা হয়। এনপিটি (পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি) সই করা দেশ হিসেবে ইরান বলছে, তারা কেবল শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক প্রযুক্তির পক্ষেই।

অন্যদিকে, ইসরাইল নিজেই এনপিটি স্বাক্ষরকারী নয়। বরং ধারণা করা হয়, তাদের নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার রয়েছে। সব সময়ই তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে এসেছে।

১২ জুন আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA) জানায়, ইরান ৬০ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। যা, পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার কাছাকাছি। সংস্থার মতে, ইরানের মজুদকৃত ইউরেনিয়ামে অন্তত ৯টি পারমাণবিক বোমা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটেই ইসরাইল হামলা চালিয়েছে নাতানজ ও ইসফাহানের মতো পারমাণবিক কেন্দ্রে। তবে ফরদোর মতো গভীর ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় এখনো হামলা হয়নি। কারণ, ইসরাইলের কাছে এমন সক্ষমতা নেই— যা কেবল যুক্তরাষ্ট্রের মজুদের অংশ।

তেহরান বলছে, এটি আগ্রাসন। তারা আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করছে। পরিস্থিতি গড়াচ্ছে ভয়াবহ সংঘাতের দিকে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়ালে ইরানের মিত্র হিজবুল্লাহ, হুথি ও ইরাকি গোষ্ঠীগুলোও পালটা হামলায় জড়াতে পারে।

সূত্র: বিবিসি, এএফপি

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

ঐকমত্যের টেবিলে হাত মেলাল বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি নেতারা

  খবরের দেশ ডেস্কঃ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে বিরল এক দৃশ্যের জন্ম দিলেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির...